Nadia Fraud Case: ভাতার টাকা পাইয়ে দেবেন বলেছিলেন, শরীরের গহনা খুলতেই…
Nadia Fraud Case: গতকাল কোনও এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির কাজলদেবীর বাবার বাড়িতে এসে জানান যে তাঁর কাজল সাঁতরার নামে প্রতিবন্ধী ভাতার অনেক টাকা এসেছে।
নদিয়া: কলকাতার পাশাপাশি জেলায়ও সক্রিয় হয়েছে প্রতারণা চক্র। মঙ্গলবারের ঘটনা অত্যন্ত সেই জানানই দিচ্ছে। এক প্রতিবন্ধীর বাড়িতে এসে রীতিমত তাঁকে প্রতিবন্ধী ভাতার লোভ দেখিয়ে সোনার গহনা সহ টাকা-পয়সা লুঠ করল যুবক। শুধু লুঠ নয় রীতিমত গহনা নিয়ে চম্পট দিল সে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শান্তিপুর থানা গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাপুর এলাকায় প্রতিবন্ধী বাসিন্দা কাজল সাঁতরা। তাঁর বাবার বাড়ি শান্তিপুর থানার বাগাছরা এলাকায়। গতকাল কোনও এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির কাজলদেবীর বাবার বাড়িতে এসে জানান যে তাঁর কাজল সাঁতরার নামে প্রতিবন্ধী ভাতার অনেক টাকা এসেছে। ফলত সেই টাকা তুলতে গেলে কাজল সাঁতরার নথিপত্র প্রয়োজন। সরকারি আধিকারিক ভেবে এরপর কাজল সাঁতরার বাবা নিজে সঙ্গে করে মথুরাপুরে তাঁর মেয়ের বাড়িতে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তিকে।
সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়ার পাশাপাশি জানান যে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা তুলতে গেলে কিছু টাকা প্রাথমিকভাবে খরচ করতে হবে। এবার কাজল সাঁতরার কাছে নগদ টাকা না থাকায় নিজের শরীরের সোনার অলংকার ওই ব্যক্তিকে দিয়ে দেন। ব্যাস এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় ব্যক্তি। দীর্ঘক্ষণ সে ফিরে না এলে ঘটনাটি পরিস্কার পরিবারের কাছে। প্রত্যেকেই বুঝতে পারে যে ওই যুবক একজন ঠগ। সে গহনা লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে। এরপর বুধবার সকালে কাজল সাঁতরার পরিবারের তরফ থেকে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই প্রতারক অভিযুক্তর খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই বিষয়ে কাজল দেবীর ভাই জানান, “কালকে আমাদের বাড়িতে এক অপরিচিত মানুষ আসে। সে বাবাকে বলে যে দিদির নামে অনেক প্রতিবন্ধী টাকা এসেছে। সেই টাকা নিতে গেলে কিছু টাকা দরকার। কথা শুনে আমার বাবা ছেলেটিকে নিয়ে দিদির বাড়ি যায়। এবার দিদি কাছে অতটাকা না থাকায় নিজের কানের দুল, হার খুলে ছেলেটিকে দেয়। তারপর আর ছেলেটি ফিরে আসেনি। আমারা থানায় অভিযোগ করেছি।”