Nadia : অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের খাবারে থিকথিক করছে পোকা, শিক্ষিকাকে আটকে রেখে অবস্থান বিক্ষোভে অভিভাবকরা
Nadia : স্কুলের শিক্ষিকা ও সহ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে আটকে রেখে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন অভিভাবকরা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ।
নদিয়া : মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) সোয়াবিনের ভিতর ঘুরে বেড়াচ্ছে বড় বড় পোকার দল। কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির দক্ষিণ রাজারামপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। জোর করে ওই খাবার খেতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছিল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্রকে ব্যাপক বিক্ষোভও শুরু হয়েছিল স্কুল চত্বরে। এবার কার্যত একই প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল নদিয়ার (Nadia) নাকাশিপাড়া রামেশ্বর পল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অভিযোগ, বিদ্যালয়েরং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিড ডে মিলের খিচুড়িতে পোকা মিলল। সেই খাবারই দেওয়া হল পড়ুয়াদের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল স্কুল চত্বরে।
স্কুলের শিক্ষিকা ও সহ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে আটকে রেখে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন অভিভাবকরা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশই শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভে আটকে পড়া শিক্ষিকা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের উদ্ধার করে। অভিভাবকদের দাবি, সকালে শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসার পর তাঁদের খিচুড়ি দেওয়া হয়। বাড়িতে সেই খিচুড়ি নিয়ে গেলে দেখা যায় খিচুড়ির মধ্যে রয়েছে অজস্র পোকা। এরপরই এলাকার অভিভাবকরা একত্রিত হয়ে স্কুলে বিক্ষোভ দেখান।
রাঁধুনির দাবি চালের মধ্যে পোকা ছিল। সেই চাল দিয়ে রান্না করার সময় অসাবধানতার কারণে পোকাগুলি খিচুড়িতে চলে যায়। এ ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন। তিনি বলেন, “নানা সবজি দিয়ে আজ রান্না করি। চাল অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছিল। তাতেই পোকা ছিল। ওই চাল রান্না করাতেই খিচুড়িতেও পোকা দেখা যায়। আমি এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছি। যদিও তারপরেও এই উত্তেজনা।” ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিক্ষুব্ধ অভিভাবক বলেন, “আমরা বাড়িতে খিচুড়ি নিয়ে গেলে দেখি তার মধ্যে সাদা সাদা পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরপরই স্কুলে এসে চালের বস্তা খুলতে দেখা যায় তাতেও পোকা রয়েছে। ওই খারপ চাল দিয়েই রান্না হয়েছে। যত জনের বাড়িতে খিচুড়ি গিয়েছে সব খাবারেই পোকা ছিল। এর আগেও খারাপ খাবার নিয়ে অনেকবার অভিযোগ করেছি। তারপরেও কোনও বদল হয়নি।” অভিভাবকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ICDSC আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস মিললে অবস্থান উঠে যায়।