Nadia Protest: রয়েছে কার্ড তাও মিলছে না রেশন, ডিলারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

Ration: এলাকার প্রায় আড়াই হাজারের বেশি মানুষ কার্ড থাকা সত্বেও রেশন পাচ্ছে না।

Nadia Protest: রয়েছে কার্ড তাও মিলছে না রেশন, ডিলারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর
নদিয়ায় রেশন ডিলারকে ঘিরে বিক্ষোভ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2021 | 9:50 AM

নদিয়া: পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত রেশনে সামগ্রী। একাধিকবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণে এবার পথে গ্রামবাসীরা। রেশন ডিলারকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।

নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার চন্দনপুর এলাকা। এখানকার রেশন ডিলারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ এলাকার প্রায় আড়াই হাজারের বেশি মানুষ কার্ড থাকা সত্বেও রেশন পাচ্ছে না। সেই কারণে ডিলারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসী। দিনভর ওই ডিলারকে ঘিরে ধরে রাখেন তারা। ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ।

বিক্ষোকারী এক এলাকাবাসী বলেন, “অনেকদিন ধরেই আমরা রেশন পাচ্ছি না। রেশন সামগ্রী পেলে সংসার টানতে একটু সুবিধা হয়। আমাদের প্রত্যেকেরই বৈধ কার্ড রয়েছে। কিন্তু তারপরও রেশন মিলছে না। যতবার রেশন নিতে যাচ্ছি বলা হচ্ছে এই কার্ডে রেশন পাওয়া যাবে না। ”

এদিকে, রেশন ডিলারের দাবি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই রেশনকার্ডগুলো বাতিল হয়ে গিয়েছে। খাদ্য দফতর থেকে কার্ডগুলো বাতিল হওয়ার কারণে দ্রব্য-সামগ্রী মিলছে না। সেই কারণে গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী দিতে অসুবিধা হচ্ছে। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।

প্রসঙ্গত, ১৬ই নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। এবার থেকে ১০০ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন। বৃহৎ এই কর্মকাণ্ড শুরুর আগের দিনই এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

একুশের ভোটে তৃণমূলের দলীয় ইসতাহারে উল্লেখ ছিল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের। তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে সেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালুও হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ডিলারদের একাংশের বেঁকে বসা, দুয়ারে রেশন দিতে আপত্তি জানিয়ে তাঁদের আদালতে ছোটা, আদালতের কাছ থেকে খালি হাতে ফেরা! বহু চড়াই উতরাই পার করে অবশেষে শুরু হয় দুয়ারে রেশন প্রকল্প।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে রাজ্য জুড়ে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ শুরু করে খাদ্য দফতর। কিন্তু এরই মধ্যে রেশন ডিলাররা মামলা করে আদালতে। রেশন ডিলারদের বক্তব্য ছিল, এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার ফলে, ডিলারদের উপর চাপ বাড়ছে। ডিলারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়ে আসতে হচ্ছে। সরকারি এই প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন তাঁরা।

কিন্তু হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্য। বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল, “প্রয়োজনীয়তাই হল উদ্ভাবনের মূল কারণ। একটা অদৃশ্য ভাইরাস মানুষকে আক্ষরিক অর্থেই বেঁচে থাকার নতুন নতুন পন্থা আবিষ্কার করতে শিখিয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মানুষ বাধ্য হয়েছে ঘরবন্দি থাকতে। বিভিন্ন সংস্থা মানুষের দরজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নতুন উপায় আবিষ্কার করেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো এবিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। সরকারি বা আধা-সরকারি সংস্থাগুলিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই।”

আরও পড়ুন: PM Modi on Farm Law: প্রত্যাহার করা হবে তিন কৃষি আইন, বড় ঘোষণা মোদী সরকারের