Saraswati Puja: সরস্বতী পুজো করলেই প্রধান শিক্ষককে ‘বদলির’ হুমকি বাংলার স্কুলে, কাঠগড়ায় TMC-র বুথ সভাপতি
Saraswati Puja: ঘটনা নদিয়ার হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত নগরউখড়া দাসবেরিয়া দাস গোলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলে সরস্বতী পুজো করতে উদ্যোগী হয়েছেন স্কুলের টিচার ইনচার্জ কাশীরাম বর্মন। কিন্তু, তিনি এই উদ্যোগ নিতেই তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
নদিয়া: স্কুলে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলছেন, “সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া কাম্য নয়।” যদিও আসলেই কী ঘটেছে তা জানতে হবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি। চাপানউতোর চলছে গোটা নদিয়া জেলাতেই।
ঘটনা নদিয়ার হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত নগরউখড়া দাসবেরিয়া দাস গোলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলে সরস্বতী পুজো করতে উদ্যোগী হয়েছেন স্কুলের টিচার ইনচার্জ কাশীরাম বর্মন। অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। কিন্তু, তিনি এই উদ্যোগ নিতেই তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর সদলবলে সেই হুমকি দিয়েছেন তৃণমূল বুথ সভাপতি আলিমউদ্দিন মণ্ডল। স্কুল সূত্রে খবর, স্কুলে আসা পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেই সরস্বতী পুজোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে কাশীরামবাবু স্কুলে আসতেই তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্কুল ক্যাম্পাস। অভিযোগ, আলিমউদ্দিন দলবল নিয়ে তেড়েও যান টিচার ইনচার্জের দিকে।
উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় নগরউখড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ। দু’পক্ষকেই ডাকেন থানায়। সূত্রের খবর, সেখানেই মিটমাট করার কথা বলা হয়েছে পুলিশের তরফে। যদিও ঘটনার পর থেকে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন ওই স্কুলের শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা। কুণাল ঘোষ যদিও বলছেন, “এটা স্থানীয় নেতৃত্ব দেখবেন। এটা কতটা সঠিক নাকি অন্য কিছু সেটা দেখা উচিত।” যদিও আক্রান্ত শিক্ষক বলছেন, “এরপর কী করে স্কুলে আসব বুঝতে পারছি না। খুবই ভয়ে আছি।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নারায়ণ দাস ব্লক সভাপতি আবার বলছেন যিনি হুমকি দিয়েছেন তিনি তৃণমূল করেন না। সাফ বলছেন, ও সিপিএমের লোক। একইসঙ্গে তিনি এও বলছেন, “এই ব্যবহার ঠিক নয়। এটা অন্যায়। শিক্ষকদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই। প্রশাসন ব্যাপারটা দেখছে। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার।”
ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। তিনি জানাচ্ছেন তিনি ইতিমধ্যেই হেড মাস্টারকে ফোন করেছেন। কথাও হয়েছে। তাঁর মুখেই সবটা জানতে পারেন। অসীম সরকারের কথায়, “ওরা মাস্টারকে এসে সাফ বলেছিল ওখানে সরস্বতী পুজো করা যাবে না। এটা যাঁরা হুমকি দিয়েছে তাঁদের দোষ নয়। ঘটনায় পুলিশমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, উনি দুধেল গাইকে এভাবে আস্কারা দিয়েছেন বলেই আজ এরা মা সরস্বতীর পুজোর বিরোধিতা করতে সাহস পাচ্ছে।”