‘ভোর তিনটে থেকে লাইনে তবুও পিছনের লোক আগে পাচ্ছে’, হাসপাতালগুলিতে ভ্যাক্সিনের লাইনে হাহাকার
প্রায় চল্লিশ ডিগ্রি তাপমাত্রা। ছাতা দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা ব্যর্থ। দরদর করে ঘাম, ভ্যাক্সিনের (COVID )লাইনে নেই তিল ধারণের জায়গা।
TV9 ব্যুরো: প্রায় চল্লিশ ডিগ্রি তাপমাত্রা। ছাতা দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা ব্যর্থ। দরদর করে ঘাম, ভ্যাক্সিনের (COVID )লাইনে নেই তিল ধারণের জায়গা। রাজ্যজুড়ে পরিস্থিতিটা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কোথাও দেখা যাচ্ছে, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাক্সিন মিলছে না. কোথাও আবার ইট দিয়ে রাখা হচ্ছে লাইন। হাসপাতালে ভ্যাকসিনের লাইনেও উঠছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি, লাইনে দাঁড়ানো মানুষের বিক্ষোভ- এটাই এখন অতিমারি বাংলার বিভিন্ন হাসপাতালের চিত্র।
সংক্রমণ বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে হাহাকার ভ্যাকসিনের। প্রচণ্ড গরমে ঘন্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়েও ভ্যাকসিন না মেলায় ক্ষোভ। তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। শুধু তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালেই নয়। রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে একই চিত্র দেখা যায়।
কোলাঘাটের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও একই ছবি। সামাজির দুরত্ববিধি না মেনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে শয়ে শয়ে বয়স্ক মানুষ। লাইনে দাঁড়ানো বয়স্ক এক ব্যক্তি বললেন, “সকাল থেকে এই রোদে দাঁড়িয়ে আছি। এমনিই অসুস্থ বোধ করছি। করোনা হওয়ার আগে, ভ্যাক্সিন নেওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ব বলে মনে হচ্ছে।”
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এক জায়গায় অনেক মানুষের জটলা। গরমে ক্লান্ত হয়ে অনেকেই মাস্ক নামিয়ে রাখছেন । এরকমই এক জন বললেন, “পরিস্থিতি খারাপ জানি। ভোর তিনটে থেকে এসে দাঁড়িয়ে আছি। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে। দাদা মুখে মাস্কটা রাখতে রাখতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। একটু ভাল করে নিঃশ্বাসটা নিয়ে মাস্ক তুলে নেব।”
আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই শক্তিশালী বোমা, নদিয়ায় এই কাণ্ডের তদন্তে দিশেহারা পুলিশও
শ্রীরামপুর পুরসভার মাহেশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও একই অবস্থা। ভ্যাকসিনের জন্য শয়ে শয়ে মানুষের ভিড়। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতেও ভ্যাকসিনের দীর্ঘ লাইন। কোভিড বিধি ভেঙেই জটলা একাধিক টিকাকরণ কেন্দ্রে। কালনা মহকুমা হাসপাতালে পর্যাপ্ত করোনা টেস্ট কিট না থাকায় সমস্যা। উপসর্গ থাকা সত্বেও শয়ে শয়ে মানুষকে পরীক্ষা না করিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে।