বিপদের প্রহর গুনছে বাংলা, ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় নেমে পড়েছে এনডিআরএফ
ইতিমধ্যেই বুক দুরু দুরু শুরু সুন্দরবনের (Sundarban)। হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাড়োয়াতেও একই অবস্থা।
কলকাতা: তীব্র ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ইয়াস (Cyclone Yaas)। সতর্কবার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ২৬ মে সকালে বাংলা-ওড়িশা উপকূলে পৌঁছতে পারে তা। কোথায় কখন আছড়ে পড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কোমর বেঁধে পরিস্থিতির আগাম সতর্কতায় ময়দানে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছে এনডিআরএফ। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন জওয়ানরা। দুই মেদিনীপুরেও দেখা যাচ্ছে সেই ছবি।
শুক্রবারই বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ইয়াস-মোকাবিলায় বৈঠক করেছেন। যেহেতু দক্ষিণবঙ্গে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি, তাই দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, বিধান নগর ও মেদিনীপুরে আগে থেকে দফতরের বিশেষ দল থাকবে। ২৫-৩০ জনের একটি দল তৈরি করা হবে। জেলায় জেলায় বাতিস্তম্ভ পাঠানোর পাশাপাশি ২৫ মে থেকেই কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। সেখানে থাকবেন খোদ মন্ত্রী।
আগামী ২৬ মে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে প্রবেশ করতে পারে ইয়াস। উপকূলে প্রবেশ করার সময় হাওয়ার গতিবেগ কমপক্ষে ৮০-৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। যার জেরে ২৫ মে থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৬ মে রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
আরও পড়ুন: বাড়তি নজরে অধিকারীরা, তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির-দিব্যেন্দুকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা
ইতিমধ্যেই বুক দুরু দুরু শুরু সুন্দরবনের। হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাড়োয়াতেও একই অবস্থা। দিঘা, মন্দারমণি-সহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় জারি হয়েছে সতর্কবার্তা। শনিবারই পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকেই মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা। ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ইয়াস। শক্তি বাড়িয়ে বুধবার তা আছড়ে পড়তে পারে উপকূলে।