Nimta: বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে চুপিচুপি পুকুরে স্নান, জলে ডুবে মৃত্যু ২ কিশোরের
Death by Drowning: পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে শুরু হয়ে দুই ভাইয়ের খোঁজ। শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। পুকুর থেকে তুলে আনা হয় দুই ভাইয়ের নিথর দেহ। মৃত দুই কিশোরের নাম প্রিয়াংশু কুমার শর্মা ও হিমাংশু কুমার শর্মা।
নিমতা: সোমবার দুপুরে স্নান করতে নেমেছিল দুই ভাই। তারপর দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু সবই বৃথা। কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না তাদের। দুশ্চিন্তায় এরপর নিমতার কল্যাণগড়ের ওই পরিবার যোগাযোগ করে থানায়। নিমতা থানার পুলিশকর্মীরা খবর পেয়েই পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে শুরু হয়ে দুই ভাইয়ের খোঁজ। শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। পুকুর থেকে তুলে আনা হয় দুই ভাইয়ের নিথর দেহ। মৃত দুই কিশোরের নাম প্রিয়াংশু কুমার শর্মা ও হিমাংশু কুমার শর্মা।
নিমতার কল্যাণগড় এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ফুলকুমার শর্মা। দেশের বাড়ি বিহারে। এদিন ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন তাঁর ফুলকুমাররা। চিকিৎসার প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। ছেলে বাড়িতে একা থাকবে, সেই ভেবে শ্যালিকার ছেলে হিমাংশুকে বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন তিনি। আর এর মধ্যেই এই অঘটন ঘটে যায়। কেউ কিছু টেরও পাননি। বাড়িতে বড়রা কেউ না থাকায় সুযোগে দুই ভাই মিলে স্নান করতে চলে যায় পুকুরে। কাউকে কিছু না জানিয়েই।
এরপর আজ যখন বিকেলে ডাক্তার দেখিয়ে তাঁরা বাড়িতে ফেরেন, তখন বাড়িতে প্রিয়াংশু বা হিমাংশু কারও দেখা পাননি। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর জানা যায়, দুই কিশোর এলাকার এক পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল। এরপরই দুশ্চিন্তা আরও বাড়ে। উদ্বেগে, উৎকণ্ঠায় তাঁরা ছুটে যান নিমতা থানায়। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীদের সাহায্যে পুকুরে ডুবুরি নামায়। ততক্ষণে বিকেল পেরিয়ে সন্ধে হয়ে গিয়েছে। শেষে পুকুর থেকে দুই কিশোরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য কামারহাটিতে সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পুকুরে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে দু’জনের। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই বোঝা যাবে। এদিকে দুই কিশোরের হঠাৎ এভাবে মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।