Mans death in Habra: স্বামীকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ, থানায় গিয়ে মহিলা পুলিশ জানালেন, ‘সেফটির জন্য এসেছি’
Habra: কর্মসূত্রে কয়েকদিন আগে হাবড়া থেকে বারাসতে স্থানান্তরিত হন জ্যোতি বিশ্বাস। এবার এখানে আসার পর থেকেই শুরু হয় সাংসারিক অশান্তি।
হাবড়া: প্রায় দশ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ওদের। এক সন্তানও রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। কিন্তু তা বলে এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে স্বামীর তা কেউ ভাবতে পারেনি। বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল মহিলা পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার নিবেদিতা পল্লীর ঘটনা। মৃতের নাম অসিত কুমার দাস (৩৫)। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম জ্যোতি বিশ্বাস। অভিযোগ, ২০১১ সালে বিয়ে হয় দু’জনের। ছয় বছরের এক সন্তানও রয়েছে তাঁদের।
কর্মসূত্রে কয়েকদিন আগে হাবড়া থেকে বারাসতে স্থানান্তরিত হন জ্যোতি বিশ্বাস। এবার এখানে আসার পর থেকেই শুরু হয় সাংসারিক অশান্তি। অভিযোগ, রবিবার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান অসিত। কিছক্ষণ পর জ্যোতি অসিতবাবুর আত্মীয়দের ফোন করে বলেন, তাঁর স্বামী কিছু খাবার খেয়েছেন। তারপর থেকেই বমি করছেন। নিজেকে যাতে ঝামেলার মুখোমুখি পড়তে না হয় সেই কারণে তিনি আগেভাগেই চলে যাচ্ছেন থানায়।
এবার অসিত আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তা নজরে আসে স্থানীয়দের। সোজা তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাবরা হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। মারা যান অসিত কুমার দাস। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রতিবেশীরা। অবিলম্বে অভিযুক্ত স্ত্রীর কঠোর সাজা দাবি জানিয়েছেন তারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অসিতবাবু দাদা বলেন, “২০১১ সালে বিয়ে হয়েছিল জ্যোতির সঙ্গে অসিতের। এই দশ-এগারো বছর ধরেই ওদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। আমার ভাইয়ের জন্য ও পুলিশের চাকরি পায়। এরপর বৌমার এক অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর থেকে আমার ভাইয়ের উপর মানসিক নির্যাতন করত। এরপর কী হয়েছিল জানি না। কালকে ভাই কাগজ পত্র নিয়ে বারাসত যায়। এর কিছুক্ষণ পর ফোন আসে। জানতে পারি ভাই বমি করছে। আমি যখন ওর বৌকে ফোন করি জানায় ভাই কিছু খেয়েছে। আর তারপর থেকেই বমি করছে। ও নিজেকে বাঁচাতে আগে থেকেই থানায় চলে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: Soldiers death: হঠাৎ পকেট থেকে বন্দুক বের করেই পরস্পরকে গুলি ২ জওয়ানের…