Ashoknagar: আধার প্রতারণার শিকার মিষ্টির দোকানের কর্মী
Ashoknagar: স্থানীয় মিষ্টির দোকানে কাজ করেন কোনও রকমে সংসার চালান সুজিত দাস। তাঁর আধার ও ভোটার কার্ড ব্যবহার করে়, তাঁকেই প্রতারণার শিকার বানিয়েছে একটি চক্র। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ মহিলা সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
উত্তর ২৪ পরগনা: কোনও একটা বিশেষ কাজে আধার ও ভোটার কার্ড প্রতিবেশীকে দিয়েছিলেন বিশেষ করে। আর তারপরই কেল্লাফতে! প্রতারণার শিকার অশোকনগর থানা এলাকায় বান্ধবপল্লির বাসিন্দা সুজিত দাস। শনিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অশোকনগর থানায়।
স্থানীয় মিষ্টির দোকানে কাজ করেন কোনও রকমে সংসার চালান সুজিত দাস। তাঁর আধার ও ভোটার কার্ড ব্যবহার করে়, তাঁকেই প্রতারণার শিকার বানিয়েছে একটি চক্র। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ মহিলা সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, আধার ও ভোটার কার্ড ব্যবহার করে মাসিক ইএমআই স্কিমে দু চাকার বাইক থেকে শুরু করে এসি সহ নানা দ্রব্য কিনে, ওএলএক্স- এর মাধ্যমে বিক্রি করে দিতেন। পরবর্তীতে দু একটি কিস্তি ভরলেও, তারপর থেকে প্রতিমাসে ইএমআই ঠিকমতো না মেলায়, যাঁর আধার কার্ড ব্যবহার করে জিনিস কেনা হয়েছিল তাঁর কাছে, অর্থাৎ সুজিতের কাছে চিঠি আসতে থাকে।
মোটা অঙ্কের টাকা দেনা হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এরপরই, বিষয়টি জানিয়ে অশোকনগর থানার দারস্থ হন সুজিত দাস। তদন্তে নেমে পুলিশ স্বামী স্ত্রী-সহ আরও এক ব্যক্তিকে অশোকনগরের নানা প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুটি বাইক ও এসি মেশিন। যার মূল্য প্রায় চার লক্ষ টাকা। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কিনা তার জন্য অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বারাসাত আদালতে পাঁচ দিনের পুলিশি রিমান্ড চেয়ে পাঠানো হয়েছে তাদের বলেই সাংবাদিক সম্মেলনে জানান হাবড়ার এসডিপিওর প্রসেনজিৎ দাস। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সচেতনতা বার্তাও দেওয়া হয়।