Barasat: রাত ২টোয় স্বামীর নম্বর থেকে ফোন, জিআরপিতে গিয়ে দেখি লাশ পড়ে রয়েছে! বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর

Body Recover: অভিযোগ, বাবা ও দাদাকে সঙ্গে নিয়ে বন্ধু এই ঘটনা ঘটায়।

Barasat: রাত ২টোয় স্বামীর নম্বর থেকে ফোন, জিআরপিতে গিয়ে দেখি লাশ পড়ে রয়েছে! বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর
বন্ধুর বিরুদ্ধেই উঠল যুবককে খুনের অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 2:55 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: বন্ধুর বিরুদ্ধেই উঠল যুবককে খুনের অভিযোগ। সঙ্গী হিসাবে নাম জড়াল বন্ধুর বাবা ও দাদার। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বারাসতের (Barasat) নিবেদিতা পল্লির জামতলায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম শঙ্কর যাদব। অভিযোগ, আনন্দ নামে তাঁর এক পড়শি-বন্ধুই তাঁকে খুন করেছে। শঙ্করের মা ও স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় নিয়ে গিয়েছে বারাসত থানার পুলিশ।

অভিযোগ, বন্ধু আনন্দ ও তাঁর দাদা এবং বাবা মিলে এই খুনের ঘটনা ঘটায়। এরপর শঙ্করের দেহ রেললাইনে পাশে শুইয়ে দিয়ে জামতলার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এদিকে রাত বাড়লেও স্বামী না বাড়ি না ফেরায় শঙ্করের স্ত্রীর অস্থির হয়ে ওঠেন। এরই মধ্যে রাত ২টো নাগাদ জিআরপি থেকে ফোন আসে। ডেকে পাঠায় তাঁকে। সেখানে গিয়ে ভয়ঙ্কর সত্যির মুখোমুখি হন শঙ্করের স্ত্রী, ছেলে-সহ পরিবারের লোকজন।

শঙ্কর যাদবের স্ত্রী মৌসুমী যাদবের কথায়, “রাত তখন ১টা বাজে। আমি বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে। আমার স্বামী তখনও বাড়ি আসেনি। ও ফিরবে অপেক্ষায় পাইচারি করছি। দেখি ওই আনন্দ ওর বাবা আর দাদাকে নিয়ে বাড়ি ফিরল। আমি ঘরে ঢুকে ছেলেকে বললাম, তোর বাবা এখনও ফিরল না। আনন্দ গেল দেখলাম বাড়িতে। ওর বাবা, ভাইও ছিল। এরপর আবার আমি পাড়ার মোড়ে এসে দাঁড়াই। দেখি আনন্দ আর ওর বাবা ফের বেরিয়েছে। আমার সামনে দিয়ে গেল। তাও একবার বলল না ওদের ঝামেলা হয়েছে, মারামারি হয়েছে, কী মেরে ফেলেছে! বলতেও তো পারত ওখানে পড়ে রয়েছে, যাও। উচাটন হয়ে ছিলাম। ঘরে ঢুকে ছেলেকে বললাম, তোর আনন্দ কাকারা তো বাবাকে দেখেছে কি না কিছু বলল না। আমিও জিজ্ঞাসা করলাম না। রাত প্রায় ২টো বাজে তখন। দেখি ওর বাবার নম্বর থেকে ফোন আসছে। ধরতেই বলে জিআরপি থেকে ফোন। ওরা জিজ্ঞাসা করল, ‘এই নম্বরটা কার’। আমি বললাম, স্বামীর। তখন জিআরপি অফিসে যেতে বলল।”

murder

এরপরই জিআরপি অফিসে গিয়ে আঁতকে ওঠেন মৌসুমী। মৌসুমী যাদবের কথায়, “দেখি মেরে ফেলে রেখেছে। পাথর দেহটা পড়ে রয়েছে। আনন্দ, আনন্দর দাদা গোবিন্দ আর ওর বাবা এই খুন করেছে। পুলিশ ওদের ধরে নিয়ে গেল। কী করে বুঝব এই আনন্দ এমন সর্বনাশ করবে আমাদের। ওরা বন্ধু। প্রায় দিনই রাতে একসঙ্গে বাড়ি ফিরত।”

অন্যদিকে শঙ্কর যাদবের মা সুশীলা যাদব বলেন, “আমি বড় মেয়ের বাড়িতে ছিলাম। পাশের পাড়াতেই থাকে। রাত তিনটের সময় নাতি ফোন করে বলছে, বাবা নেই। আমার মেয়ে কোনও মতে উঠে দেখি শাড়ি পরছে। জিজ্ঞাসা করতে বলল, শঙ্কর নেই। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে জিআরপিতে যাই। আমাকে ঢুকতে দেয়নি রেল পুলিশ। বলল যাবেন না আপনি। আনন্দের বাবা আর দুই ছেলে মিলে আমার ছেলেকে শেষ করে দিল। মেরে লাইনে শুইয়ে দিয়েছে। আনন্দর সঙ্গে বাড়িতে এসে ভাত খেয়েছে, রুটি খেয়েছে। এক একদিন মদও খেতো। এ নিয়ে আমি আপত্তি করতাম বলেই আনন্দর বাবার রাগ।”

আরও পড়ুন: Maldah: ত্রাণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বেদম মার এলাকাবাসীর