Maldah: ত্রাণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বেদম মার এলাকাবাসীর

TMC Leader: ২০১৭ সালের একটি ত্রাণ বণ্টন দুর্নীতিতে নাম জড়ায় এই তৃণমূল নেতার।

Maldah: ত্রাণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বেদম মার এলাকাবাসীর
ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে বন্যার ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেধড়ক মার খেলেন এক তৃণমূল নেতা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 2:42 PM

মালদহ: একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে বন্যার ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেধড়ক মার খেলেন এক তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress)। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই গণপিটুনি খেতে হয় ওই নেতাকে। পুলিশ আক্রান্তকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গেও স্থানীয়রা বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড বাধে মালদহের (Maldah) হরিশচন্দ্রপুরে।

হরিশচন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের বরোই গ্ৰামপঞ্চায়েতের চোপালমোড় এলাকায় শুক্রবার এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার নাম কুণালকান্তি দাস। কুণালকান্তি আবার বরোই গ্রামপঞ্চায়েতেই এক তৃণমূল সদস্যের স্বামীও।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে ত্রাণ বণ্টনের একটি অভিযোগ উঠেছিল গ্রামপঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সেখানে টাকা আত্মসাতে নাম জড়ায় কুণালকান্তিরও। তার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ, সেই তদন্তেই উঠে আসে এক ব্যক্তির নামে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী। এরপরই এদিন তাঁকে আটকায় এলাকার লোকজন। ঘিরে ধরে শুরু হয় গণপ্রহার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এদিকে পুলিশ শাসকদলের হয়ে ওকালতি করছে, এমন অভিযোগ তুলে পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা।

স্থানীয় তৃণমূল ব্লক প্রেসিডেন্ট মানিক দাস বলেন, “খবরটা সকালে শুনেছি। এটা পুরোপুরি কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির লোককে উস্কে দিয়ে আমাদের এক সদস্যকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। প্রশাসনকে বলেছি। প্রশাসন তাদের মতো করেই ব্যবস্থা নেবে। আমরা দলগত ভাবেও চিন্তা ভাবনা করছি, কী করা যায়। আসলে বিষয়টা হচ্ছে, যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন কংগ্রেসের বোর্ড ছিল। ২০১৭ সালে এই বন্যা হয়েছিল। তখন দু’টো তালিকা হয়েছিল। একটা কংগ্রেসের তরফে পঞ্চায়েতের তালিকা হয়। আরেকটা তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তৈরি করেছিলেন। কংগ্রেসের লোকরা একাধিক নাম ঢুকিয়েছে। কোথাও চারটে কোথাও পাঁচটা। ওরাই দুর্নীতিটা করেছে। এখন আমাদের উপর চেষ্টা করছে তা চাপানোর। যেহেতু প্রধানের সই আছে, তাই ওনাকে ফাঁসানো হচ্ছে। লিস্ট হয়েছিল ২০১৭ সালে। টাকা ছাড়া হয় ২০১৮ সালে।”

এ প্রসঙ্গে হরিশচন্দ্রপুর দক্ষিণের মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল বলেন, “বরোই ২৮ নম্বর বুথের গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য পম্পা। ওনার কর্তাকে জন সাধারণ ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। শুনলাম নাকি মারধরও করেছে। ২০১৭ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্টে নিয়ে রেখেছেন। অথচ যারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন, সর্বস্ব হারিয়েছেন, তাঁরা কিছুই পাননি। একটা অ্যাকাউন্টে বার বার টাকা ঢুকছে, তা নিয়ে পঞ্চায়েত আধিকারিকদের কেন কোনও প্রশ্ন এলো না মনে?” বিজেপি নেতার দাবি, এখন তৃণমূল অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে হাত ঝেড়ে ফেলতে চাইলে তা তো হবে না! প্রশাসন, বিডিওকে এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে হবে।

আরও পড়ুন South Dinajpur: পুলিশ মর্গের ফ্রিজার ‘বিকল’, লাশকাটা ঘরের গন্ধে গা পাকিয়ে ওঠে স্থানীয়দের