Bhatpara-Barrackpore: শিল্পাঞ্চলে ‘ছন্নছাড়া’ অর্জুনহীন বিজেপি; দ্বিতীয় স্থানে CPIM, পদ্ম তারও পরে

Bhatpara: দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে খুব একটা খুশি নয় সিপিএম শিবির। তাদের আশা, মানুষ আবার তাদের ফিরিয়ে আনবে। এদিকে আবার বিজেপির থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে রাজ্যে শাসন নেই, এক তরফা ভোট হচ্ছে বলেই অভিযোগ পদ্ম শিবিরের।

Bhatpara-Barrackpore: শিল্পাঞ্চলে 'ছন্নছাড়া' অর্জুনহীন বিজেপি; দ্বিতীয় স্থানে CPIM, পদ্ম তারও পরে
ভাটপাড়ায় কি শক্তি হারাচ্ছে বিজেপি?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 6:01 PM

ভাটপাড়া: উপনির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। আর বিজেপি পিছিয়ে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে। আর এই নিয়েই জলঘোলা শুরু জেলার রাজনীতিতে। কিছুদিন আগেই অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। তারপর উপনির্বাচনে বিজেপির এই ধরাশায়ী অবস্থায় স্পষ্টতই চাপ বাড়ছে বিজেপি নেতৃত্বের। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে পুরনির্বাচনে বিজেপির তিন নম্বরে চলে যাওয়ায় তৃণমূল শিবির স্বাভাবিকভাবেই খুশি। যদিও সিপিএম এবং বিজেপি উভয় শিবির থেকেই দাবি করা হচ্ছে, শাসক দল যদি ভোট লুট না করত, তাহলে তারাই জয় লাভ করত। তবে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে খুব একটা খুশি নয় সিপিএম শিবির। তাদের আশা, মানুষ আবার তাদের ফিরিয়ে আনবে। এদিকে আবার বিজেপির থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে রাজ্যে শাসন নেই, এক তরফা ভোট হচ্ছে বলেই অভিযোগ পদ্ম শিবিরের।

উল্লেখ্য, ভাটপাড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কনকলতা দাস। ৯৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী রিঙ্কি সাউ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২১৮। অন্যদিকে মাত্র ১৯১ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অর্পিতা দাস। এই বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সকাল থেকে যদি উন্নয়ন বাহিনী বুথে দাঁড়িয়ে না থাকত, তাহলে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আমাদের ফল ভাল হত। কারণ মানুষ তৃণমূল এবং বিজেপির স্বরূপ বুঝতে পারছে। আস্তে আস্তে সিপিএমের উপর মানুষের আস্থা ফিরছে। তারই প্রতিফলন এই ফলাফলে।” বিজেপিকে পিছনে ফেলে সিপিএম দ্বিতীয় স্থান পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপির অস্তিত্ব কি আর ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আছে? এখানে বিজেপির যা নেতা ছিল, সবই তো তৃণমূলে চলে গিয়েছে। ফলে বিজেপির যাঁরা নিচু স্তরের কর্মী ছিলেন, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, তাঁদের পাশে কোনও নেতৃত্ব নেই। তাই তাঁরা বামেদের উপরেই আস্থা রাখছেন।”

বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্রের বক্তব্য, “পুরসভায় তো মানুষের ভোটাধিকার প্রকাশ পায়নি। শাসকদলের একনায়কতন্ত্র কায়েম হয়েছে। কোথাও ভোট হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এখানে জেতার প্রশ্ন আসে না। যেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না, সেখানে মানুষের রায় কীভাবে প্রকাশিত হবে? এখানে মানুষের রায় প্রকাশিত হয়নি।” ফাল্গুনী পাত্র এ কথা বলছেন ঠিকই, তবে শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে একটি প্রশ্ন বার বার ঘুরে ফিরে আসছে। তা হল, অর্জুন সিং বিজেপি ত্যাগের পর কি পদ্মের সংগঠন কিছুটা দুর্বল হয়ে গেল? সেই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন ফাল্গুনী পাত্র। তাঁর সাফ কথা, “বিজেপি কোনও ব্যক্তিতান্ত্রিক দল নয়। এটি সাংগঠনিক দল। একজন কর্মী গেলেও সেটি দলের জন্য ক্ষতি। সেটি আলাদা বিষয়। কিন্তু সংগঠনের দিক থেকে কোনও ক্ষতি আমাদের দলে হয়নি।”

ব্যারাকপুরে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিক অবশ্য সিপিএম এবং বিজেপির এই ধরনের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “অভিযোগ তোলা হয়েছিল ভাটপাড়া সম্পর্কে। সেই ভাটপাড়াতেই আমরা সবথেকে কম ভোটে জিতেছে। বাকি যে তিনটিতে কোনও অভিযোগ ছিল না, সেখানে একটিতে সাড়ে নয় হাজারের ব্যবধান, বাকি দুটিতে তিন হাজারের বেশি ব্যবধানে জিতেছি।”