Dilip Ghosh: ‘বিয়ে বাড়িতে গেলে অসংখ্য মানুষ ছবি তোলে’, অভিষেকের আঁতাত প্রশ্নে নির্ঘোষ দিলীপের
Abhishek Banerjee: অভিষেক একটি ব্যানারটি দেখান। সেখানে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেখা যায়। এই জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “রাম-বাম চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।”
নিউটাউন: পরের সপ্তাহেই সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনের প্রচারে রবিবার সাগরদিঘিতে জনসভা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের হাত থেকে সাগরদিঘি কাড়তে সেখানে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোট। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi Bye election) বিরোধীদের আঁতাতের দাবি রবিবারের জনসভা থেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের অঘোষিত সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। শুধু দাবিই নয়, নিজের দাবির সপক্ষে মঞ্চ থেকে প্রমাণও দেখিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাগরদিঘির কংগ্রেস প্রার্থীর ছবিও দেখিয়েছিলেন তিনি। ইকোপ্রাকে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের পাশ থেকে মানুষ সরে যাচ্ছে। তাই নিত্যনতুন তত্ত্ব খাড়া করতে হচ্ছে।
রবিবার সাগরদিঘিতে প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “কংগ্রেসের প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপির জোট হয়েছে। আমি তথ্য পেশ করব। যদি প্রমাণ করতে না পারি মানহানির মামলা হোক।”এর পর অভিষেক একটি ব্যানারটি দেখান। সেখানে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেখা যায়। এই জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “রাম-বাম চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।” এই প্রসঙ্গেই দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “এ সব গল্প আগে মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন। এসব বলে কী লাভ? মানুষ সরে যাচ্ছে। তাই নিত্যনতুন তত্ত্ব খাড়া করতে হচ্ছে। যাতে মুসলিম ভোট ভাগ না হয়, তার জন্য এ সব তত্ত্ব। এত দিন মুসলিমদের এনআরসি বা বিজেপির ভয় দেখাতেন। বাংলার মানুষ সচেতন। সব বোঝেন। শুভেন্দুর সঙ্গে যে ছবি দেখানো হয়েছে, তাতে কী প্রমাণ হয়? আমি বিয়েবাড়ি গেলে অজস্র লোক আমার সঙ্গে ছবি তোলে। তার মানে কি এই যে আমি ওই দলে চলে গিয়েছি?”
সাগরদিঘিতে অভিষেকের বক্তব্য ছাড়াও ইকোপার্কে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মত জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “সরকার অযোগ্য, অপদার্থ। মানুষ প্রতিবাদ করলেই নানারকম ভয় দেখায়।” সরকারি কর্মচারিদের অধিকার লঙ্ঘন হলে পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে বিষ্ণুপুরে
সরকার অযোগ্য অপদার্থ। মানুষ প্রতিবাদ করলেই নানারকম ভয় দেখায়। আপনার যোগ্যতার তো প্রমাণ হয়ে গেছে। যারা যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করেন, তাদেরকে আপনি শাস্তি দিচ্ছেন। সারা দেশের সরকারি কর্মীরা তাদের প্রতি সহমর্মী। কর্মচারিদের অধিকার লংঘিত হলে সমস্ত কর্মচারি পাশে দাঁড়াবেন। বিষ্ণুপুরে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় দিলীপ বলেছেন, “আপনি যদি বোম বন্দুক নিয়ে খেলা করেন, তা একদিন আপনার দিকেই আসবে।”