Chandan Mondal: ‘চাকরি চলে গেলে গ্রামে হাহাকার পড়ে যাবে’, চন্দনের গ্রামের লোকজন যা বললেন…
Chandan Mondal: এক বাসিন্দাকে প্রশ্ন করে জানা গেল, 'আগে ৫ লক্ষ দিতে হত চাকরির জন্য, পরে ১২ লক্ষ টাকা দিতে হত।'
বাগদা : টাকা দিলেই চাকরি! চন্দন মণ্ডলের (Chandan Mondal) বাড়ির সামনে নাকি একসময় লাইন পড়ে যেত। চাকরি চাওয়ার লাইন। অন্তত তেমনটাই বলছেন বাগদার বাসিন্দারা। কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমে শুনেছেন সিবিআই-এর হাতে চন্দনের গ্রেফতার হওয়ার খবর। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, চন্দন যা করেছেন, তাতে গ্রেফতার হওয়াই উচিত। তবে, চন্দনের কাছ থেকে যাঁরা টাকা নিতেন, তাঁরা কবে ধরা পড়বে? সেই প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা। ঠিক কতজন চাকরি পেয়েছিলেন চন্দনকে টাকা দিয়ে? এলাকার বাসিন্দারা সঠিক সংখ্যা বলতে পারছেন না ঠিকই। তবে তাঁদের কথায়, চাকরি হয়েছে অনেকের। এখন যদি সে সব চাকরি যায়, তাহলে নাকি গ্রামে হাহাকার পড়ে যাবে।
এক বাসিন্দাকে প্রশ্ন করে জানা গেল, ‘আগে ৫ লক্ষ দিতে হত চাকরির জন্য, পরে ১২ লক্ষ টাকা দিতে হত।’ তাঁর কথায়, চাকরি চলে গেলে হাহাকার পড়ে যাবে, গ্রামে আলোড়ন পড়ে যাবে। ইতিমধ্যেই গ্রুপ ডি মামলায় গ্রামের ৭-৮ জনের চাকরি গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চন্দন একা নন, তাঁর অনেক লোকজনও ছিলেন। সেই সব এজেন্টদের বাড়িঘরও ভাল বলে জানিয়েছেন তিনি। চাকরি চাইতে নাকি লোক আসত নদিয়া, ২৪ পরগনা থেকেও।
রমেশ চন্দ্র মণ্ডল নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, ‘শুধু বাগদা নয়, নদিয়া, দিনাজপুর, গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চন্দনের কারবার চলত।’ চাকরি চাওয়া শুধু নয়, কাউকে বদলি করাতেও ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিতেন চন্দন, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
বাগদা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘বিভিন্ন কথা শোনা যায়, তবে আমার ঠিক জানা নেই। আমি কখনও দেখিনি।’
শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল চন্দন মণ্ডলকে। জিজ্ঞাসাবাদের পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এদিন। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির অভিযোগ সামনে এসেছে আগেই। এবার তাঁকে জেরা করে আরও তথ্য বের করে আনতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা।