Child Recover: মর্মান্তিক ছবি খড়দহে! শীতের রাতে গঙ্গার ঘাটে পড়ে মৃত শিশুকন্যা
Khardah: এর আগে বরাহনগরে উদ্ধার হয়েছিল সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের দেহ। এরপর খড়দহে ফের মৃতদেহ উদ্ধার হল।
বরাহনগর: সকাল হতেই গঙ্গারঘাটে গিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু যেতেই চক্ষু চড়কগাছ হতে হয়। গঙ্গারঘাটে পড়ে রয়েছে শিশুকন্যার দেহ। পেটে লাগানো ট্যাগ। আর দেরি না করেই সঙ্গে-সঙ্গে খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানার পুলিশকে। সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য খড়দহ রাসখোলা ঘাটে। ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় খড়দহ থানার পুলিশ।
এর আগে বরাহনগরে উদ্ধার হয়েছিল সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের দেহ। এরপর খড়দহে ফের মৃতদেহ উদ্ধার হল। সদ্যোজাত শিশুটির পেটে হাসপাতালের ট্যাগ লাগানো ছিল। সেই অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের ট্যাগ লাগানো সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ কী করে গঙ্গার ঘাটে এল। কারাই বা এই সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ এই জায়গায় ফেলে রেখে গেল।
ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে খড়দহ থানা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এটা একটা ভয়ঙ্কর অপরাধ। এ অপরাধের কোনও সীমা নেই। আজ সকালবেলা শোনা যাচ্ছে সদ্যোজাত শিশু যার পেটে ট্যাগ লাগানো ছিল তাঁকে এই গঙ্গারঘাটে পাওয়া যায়। কাদের নজর এড়িয়ে কীভাবে হল? আশা করছি খুব দ্রুত সত্য উদঘাটন হবে। অপরাধী ধরা পড়বে।”
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে বরাহনগরের অক্ষয় মুর্খার্জী লেনে স্থানীয় রেশন দোকানের সামনে একটা বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনেছিলেন বাসিন্দারা। একটু এদিক-ওদিক দেখতেই নজরের এল ফুটফুটে এক সদ্যোজাত পুত্রসন্তান। কেউ বা কারা ফেলে রেখে গিয়েছে ওই একরত্তিকে। সময় নষ্ট না করেই বাচ্চাটিকে উদ্ধারে হাত লাগান স্থানীয়রা। তাড়াতাড়ি বাচ্চাটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।