উত্তর ২৪ পরগনা: ‘গরু পাচারের মাথা তিনি, অন্যতম তোলাবাজ!’ তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে তীব্র কটাক্ষ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। পৌর নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে বামেদের সভায় এভাবেই শাসক শ্রেণিকে তীব্র আক্রমণ করলেন সুজন (Sujan Chakrabarty)।
বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর নাম না করে জনসভা থেকে সুজন বলেন, “আগে একজনের নাম খুব শোনা যেত। তোলাবাজি করেছেন। গরুপাচারকারীদের মাথা তিনি, তোলাবাজিতে প্রচুর নাম শুনেছি। তিনি স্বরূপনগরের আবর্জনা হয়ে অশোকনগরে এসেছেন।” তাঁর আরও সংযোজন, “আজ বনমন্ত্রী বলছেন তিনি ‘প্রফেশনাল ক্রিমিনাল’ -এর সঙ্গে একমঞ্চে বসবেন না। তাঁকে মনে করিয়ে দিতে চাই, একদা তিনি ও সেই ‘প্রফেশনাল ক্রিমিনাল’ একসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলের তলায় বসে যত কুকর্ম করেছেন।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়েও পাচার বন্ধ হয়নি স্বরূপনগর-সহ বসিরহাট মহকুমার কয়েকটি সীমান্ত এলাকায়। সন্ধ্যা নামলেই সীমান্তের ইছামতী-সোনাই-কালিন্দী-রায়মঙ্গল নদী দিয়ে পাচার হয়ে যেত গরু। নির্বাচনের আগে এলাকাগুলিতে কড়াকড়ি থাকলেও অবস্থা ছিল যেই-কে-সেই! অন্তত এমনটাই অভিযোগ এলাকার মানুষদের। সেসময়, কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, ওই গরু পাচারের নেপথ্যে উচ্চস্তরীয় নেতারাও জড়িয়ে রয়েছেন, সেই তালিকার বাইরে নন নারায়ণ গোস্বামী।
এদিকে, একুশের নির্বাচনে অশোকনগর থেকে জয়লাভ করেন নারায়ণ গোস্বামী। সম্প্রতি পুরভোটের আগেই দলের কর্মীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন নারায়ণ। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “কেউ যদি তৃণমূলের প্রার্থী হতে চান, তাহলে অবশ্যই তাঁকে মানুষের হয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ থাকতে হবে। আমার হাতে সিগারেটের প্যাকেট গুঁজে দিলেই প্রার্থী হওয়া যাবে না।” পুরভোটে প্রার্থীপদ পেতে কাজই হবে লক্ষ্য এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণ। একই সঙ্গে পুরভোট নিয়ে যাতে কোনও রকমের অশান্তি না ছড়ায় তা নিয়ে তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন।
বিধায়কের কথায়, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সমস্ত মানুষকে ভোট দিতে হবে। কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। অশান্তি ছড়ানো যাবে না। বল প্রয়োগ না করে সাধারণ মানুষের ভোটে জিততে হবে। তৃণমূল স্বচ্ছ ও অবাধ ভোটের পক্ষে।”
অন্যদিকে, অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা এলাকায় নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বামেরা। রবিবার স্থানীয় শহিদ সদনে বামেদের পক্ষ থেকে নির্বাচনী সাধারণ সভা করা হয়। পুরভোটের দিকে তাকিয়ে এদিন বামেদের পক্ষ থেকে একটি স্লোগান ঘোষণা করা হয়, ‘আমার শহর, আমার থাক। অশোকনগর- কল্যাণগড় বাম দিকে যাক।’