Haroa: পচা দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছিল এলাকা, নদীঘাটের কাছে যেতেই অবাক সকলে

Deadbody: খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে হাড়োয়া থানার পুলিশ।

Haroa: পচা দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছিল এলাকা, নদীঘাটের কাছে যেতেই অবাক সকলে
নাবালকের দেহ উদ্ধার (প্রতীকী চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 2:06 PM

হাড়োয়া: এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল এলকায়। সোমবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার হয় হাড়োয়া থানা (Haroa Police station) এলাকার গাম্ভীরগাছি ফেরিঘাটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে হাড়োয়া থানার পুলিশ। তারা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বসিরহাট মহকুমার (Basirhat) গোপালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতা খাটরা গ্রামের ওই ফেরি ঘটে মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সময় দেহটি বিদ্যধারী নদীর একটি শাখা বুড়িখালের পাশে পড়ে ছিল। বয়স্ক ওই ব্যক্তির মৃতদেহটিতে পচন ধরার কারণে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। তারাই খবর দেন পুলিশে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

এছাড়া, এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বেশ কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। তবে কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি খুন নাকি ওই ব্যক্তির মৃত্যু জলে তলিয়ে যাওয়ার কারণে হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। পাশাপাশি জানার চেষ্টা চলছে মৃত ওই ব্যক্তির পরিচয়।

প্রসঙ্গত, আজ সকালে রাজারহাটে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম অনিমা রায় (৫৭)। অনিমাদেবী রাজারহাট শিখরপুর রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা। আজ ভোরবেলা বাড়ির এক সদস্য নীচ থেকে হঠাৎ দেখতে পান দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলছে অনিমাদেবীর ঘরে। এরপর একটুও দেরী না করে সঙ্গে-সঙ্গে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের ডাকাডাকি শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে আর বাকি নেই কিছুই। পুড়ে গিয়েছে দেহের অধিকাংশ অংশ।

খবর দেওয়া হয় রাজারহাট থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, অনেকদিন ধরেই তাঁর স্বামী অসুস্থ রয়েছেন। সেই কারণে ,দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যার জেরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেল আত্মহত্যা করেছেন ওই পৌঢ়া।

পরিবারের এক সদস্য অনিমেষ রায় জানান,” ভোরবেলা পাঁচটা নাগাদ দেখি ঘরে আগুন জ্বলছে। আমি প্রথমে ভেবেছি বাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছে। তারপর ভিতরে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। কালকেও সব ঠিক ছিল। আমরা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম। হঠাৎ কী হল বুঝতে পারলাম না।” অনিমেষ বাবু আর বলেন,” আমার জেঠু দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। জেঠিমাও অসুস্থ ছিলেন। হাই প্রেসার ছিল ওনার। ” ইতিমধ্যেই পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুন: SFI: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আজ থেকে ফের বিক্ষোভে সরব এসএফআই