SFI: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আজ থেকে ফের বিক্ষোভে সরব এসএফআই

Kolkata: আজ সন্ধে থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুল গেটে বিক্ষোভে বসছেন আন্দোলনকারীরা।

SFI: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আজ থেকে ফের বিক্ষোভে সরব এসএফআই
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বিক্ষোভে সরব এসএফআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 2:39 PM

কলকাতা: ফের একবার অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চলছে এসএফআই (SFI)। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হোস্টেল খোলার দাবিতে সরব হতে চলেছে তারা। পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছেন এসএফআই এর প্রতিনিধিরা।

আজ ও আগামীকাল অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন এসএফআই-এর কর্মীরা। আজ সন্ধে থেকে  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল গেটে বিক্ষোভে বসছেন আন্দোলনকারীরা। ক্যাম্পাস খোলাই নয় সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়ার যাবতীয় জটিলতা দূরীকরণ ও সিট বৃদ্ধি ও সমস্ত বিভাগে নিয়মিত পিএইচডি-র নোটিশ প্রকাশেরও দাবি জানাবেন তাঁরা।

করোনা সংক্রমণে লাগাম রাখতে রাজ্যে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। এরপর সংক্রমণে কিছুটা লাগাম পড়লে একে একে খুলতে শুরু করে রেস্তোঁরা, বার, শপিংমল, সিনেমা, জিম সহ বিনোদনমূলক স্থান। কিন্তু এখনও খোলেনি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। এসএফআই পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে সব খুলে দিলে ক্যাম্পাস খুলবে না কেন? ক্যাম্পাস খোলার শেষ সংগ্রামের সময় এসেছে।

SFI রাজ্য কমিটির সদস্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া সম্পৃক্তা বোস বলেন,” আন্দোলন আজ সন্ধে থেকে শুরু হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে। এরপর আগামীকালও চলবে আন্দোলন। সকাল ১১ থেকে শুরু হবে। মূলত ক্যাম্পাস খোলা ও হস্টেল খোলা,ভর্তি প্রক্রিয়ার যাবতীয় জটিলতা দূরীকরণ ও সিট বৃদ্ধি ও সমস্ত বিভাগে নিয়মিত পিএইচডি-র নোটিশ প্রকাশের দাবি জানানো হবে এই বিক্ষোভে। ” তিনি আরও বলেন,”পুজোর পর থেকে স্কুল খোলার কথা বলা হলেও কবে স্কুল খুলছে, কতজনকে নিয়ে খুলছে, সপ্তাহে কদিন খোলা থাকবে স্কুল? এই রকম একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু কিছুই পরিষ্কার করে জানানো হচ্ছে না। ”

উল্লেখ্য, গতমাসেও ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে টিকাকরণ-সহ পুনরায় অফলাইন ক্লাস শুরু করার দাবিতে গত ৩ দিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভ চলেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূত্রে খবর, বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশনের পাশাপাশি নিয়মিত অফলাইন ক্লাসের মতো মোট ১০ দফা দাবি-দাওয়া রয়েছে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের। সেগুলি হল–১) ক্যাম্পাসের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করাতে হবে। ২) অবিলম্বে লাইব্রেরির কাজ পুনরায় শুরু করতে হবে। ৩) বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোর ল্যাবরেটরি খুলে রেমেডিয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।৪) স্টুডেন্টস সেকশনের স্বাভাবিক কাজকর্ম পুনরায় চালু করতে হবে। ৫) ২০২১ সালের পাস আউট ছাত্র ছাত্রীদের স্কলারশিপ, ভর্তি ইত্যাদির কারণে অবিলম্বে তাদের গ্রেড কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৬) অবিলম্বে রিভিউ এবং রি-এক্সামের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭) ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য ছাত্র সংসদ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।৮) ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি হস্টেল খুলতে হবে। ৯) করোনাকালে বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল স্নাতক উত্তীর্ণদের স্নাতকোত্তরে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। ১০) এ বছর ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা না নেওয়া হলেও আগামী বছরে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, বাকি সব ধরনের বিনোদনমূলক কার্যকলাপও যখন শুরু হয়ে গিয়েছে, এমনকী বার-রেস্তোরাঁও যখন রমরমিয়ে চলছে, তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা কেন? যতক্ষণ পর্যন্ত না বিশ্ববিদ্যালয় খুলে ক্লাস চালু করার দাবি পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ এই বিক্ষোভ আন্দোলন চলবে বলেই জানিয়ে রেখেছেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘যারা বেশি টাকা নিচ্ছে তারাই চিত্‍কার করছে’, তোপ দিলীপের, জেলায় সেঞ্চুরি পার তরল সোনার!