BSF: পাচারের আগেই বিএসএফ-এর হাতে পাকড়াও! উদ্ধার সিমকার্ড, রূপোর গহনা, ফোন

Basirhat: এরপরই ওই ব্যক্তির পোশাকের একাধিক জায়গা থেকে প্রায় তিন কেজি রুপোর গহনা উদ্ধার হয়।

BSF: পাচারের আগেই বিএসএফ-এর হাতে পাকড়াও! উদ্ধার সিমকার্ড, রূপোর গহনা, ফোন
সীমান্তে কড়া বিএসএফ প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 2:30 PM

বসিরহাট: সীমান্তে একের পর এক পাচার কড়া হাতে রুখে দিচ্ছ বিএসএফ(BSF)। কার্যত পাচারকারীদের কোমর ভেঙে দিচ্ছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। আজও একাধিক এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন ও রুপোর গহনা সহ গ্রেফতার হয় এক পাচারকারী।

জানা গিয়েছে, সীমান্ত থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে বিএসএফ জওয়ানরা। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ বিথারী সীমান্তের চেকপোস্টের ঘটনা।

এদিন সকালে উত্তম ঘোষ নামক এক ব‍্যক্তি বিএসএফের হাকিমপুর চেকপোস্টে আসলে ১১২নং ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর উত্তরে অসঙ্গতি মেলায় সন্দেহ হয় জওয়ানদের। তল্লাশি চালানো হয়।

এরপরই ওই ব্যক্তির পোশাকের একাধিক জায়গা থেকে প্রায় তিন কেজি রুপোর গহনা উদ্ধার হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা। এছাড়াও ৮টি এটিএম কার্ড, ৩টি সেল ফোন ও ৬ হাজার টাকা পাওয়া যায়। ধৃতের বাড়ি পার্শ্ববর্তী হাকিমপুর গ্রামে।

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জেরায় সে স্বীকার করেছে, বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে সেগুলি নিয়ে আসছিল। এমনকী বেশ কয়েকজন পাচারকারীর সঙ্গে তার যোগসূত্র রয়েছে বলেও অনুমান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর।

যেহেতু একাধিক মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় পাচারকারীদের সঙ্গে সে যোগাযোগ রাখত। পাচারকারীকে স্বরূপনগর থানার পুলিশ হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া রুপার গহনা, মোবাইল ফোন, ডেবিট কার্ড ও নগদ অর্থ তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃত পাচারকারী উত্তমকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোবাইল ফোন চালু করে দেখছে কোন কোন পাচারকারীর সঙ্গে তার যোগসুত্র রয়েছে। এমনকি সীমান্তে পাচারের সঙ্গে সে কতদিন যুক্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর বিএসএফ-এর হাতে আসে রূপোর বল। পাচার করার জন্য সেগুলি নিয়ে যাওয়া হলেও পরে ভেস্তে যায়। বসিরহাট মহকুমার (Basirhat Mahakuma) স্বরূপ নগর থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। সেখানে সোনাই নদী থেকে উদ্ধার প্রচুর রূপোর গহনা। ভোর রাতে ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের তল্লাশির সময় নদী থেকে ব্যাগভর্তি রুপোর বল উদ্ধার হয়। যার ওজন প্রায় ২১ কেজি ও বাজার মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। এগুলি বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল পাচারকারীদের।

কিন্তু বিএসএফকে দেখে ব্যাগভর্তি রুপোর গয়না ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জ‌ওয়ানরা ব‍্যাগ খুলে দেখে প্রচুর রুপোর বল। এগুলি উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি। এর পিছনে আন্তর্জাতিক পাচারের যোগ রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: Kolkata COVID: কলকাতায় কি জারি হচ্ছে কনটেইনমেন্ট জোন? কলকাতা পুরনিগমের বিশেষ নোটিস