Didir Doot: রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে আচমকা মহিলারা ঘিরে ধরলেন ‘দিদির দূত’-এর গাড়ি, তারপর…

Didir Doot: স্থানীয় বিডিও অফিসে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা বলে অভিযোগ। তাই বিধায়কদের পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Didir Doot: রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে আচমকা মহিলারা ঘিরে ধরলেন 'দিদির দূত'-এর গাড়ি, তারপর...
দিদির দূতের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2023 | 2:06 PM

বারাসত: জেলায়-জেলায় চলছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir su কর্মসূচি। প্রতিটি জায়গায় ‘দিদির দূত’-রা গিয়ে শুনছেন সুবিধা-অসুবিধার কথা। তেমনই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, বাগদা  সহ একাধিক জায়গায়  চলছে কর্মসূচি। আর কর্মসূচিতে যাওয়ার পরই সাধারণ মানুষে বিভিন্ন অভিযোগ শুনতে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। কোথাও পানীয় জল নেই, কোথাও আবার রাস্তা সারাইয়ের দাবি, কোথাও বিদ্যুৎ নেই এমন গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ শুনছেন ‘দিদির দূত-রা’। আজ মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। রাস্তা থেকে যাওয়ার সময় মহিলার রীতিমত ঘিরে ফেলেন তাঁর গাড়ি আর তারপর বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শুধু বিশ্বজিৎবাবু নন, পাশাপাশি বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং আমডাঙার বিধায়ক রফিকুল রহমানও এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

প্রথম ঘটনা

‘দিদির দূত’ (Didir Doot) কর্মসূচিতে একটি সরকারি বিদ্যালয়ে যাওয়ার পরই বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং আমডাঙার বিধায়ক রফিকুল রহমান। পানীয় জল এবং শৌচালয় নিয়ে সরব শিক্ষিকারা। পাশাপাশি নিকাশি নালার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অভিযোগ, দীর্ঘ পাঁচবছর ধরে শৌচালয়ের বেহাল দশা। স্থানীয় বিডিও অফিসে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা বলে অভিযোগ। তাই বিধায়কদের পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

যদিও, বিধায়ক এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন এই স্কুলে সমস্যা রয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, “সমস্যা সব জায়গায় আছে। দাবি আমাদের শুনতেই হবে। কারণ বড়দি দাবি জানিয়েছেন যে স্কুলে প্রায় সাড়ে তিনশো পড়ুয়া রয়েছে। তাঁদের পরিষেবার প্রয়োজন। পানীয় জলের কল বিকল হয়ে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যত দ্রুত সম্ভব তার ব্যবস্থা নেব।” অপরদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, “স্কুলে সবই রয়েছে। ছিল না এমনটা নয়। তবে সেগুলি কাজ করছে না। খারাপ হয়ে রয়েছে। তবে স্যার জানালেন আরও উন্নতমানের শৌচালয়ের ব্যবস্থা করে দেবন।”

দ্বিতীয় ঘটনা

তবে শুধু নির্মল ঘোষ নন, পাশাপাশি আরও এক দিদির দূত বিশ্বজিত ঘোষকেও ঘিরে বিক্ষোভ দেন বাগদার জনগণ। পানীয় জলের দাবিতে রীতিমত তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

এদিন ঘাটবাওড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ‘দিদির দূত’ হয়ে এসেছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। চড়ুই গাছি থেকে বয়ালদহ পৌঁছাতেই রাস্তায় তার গাড়ি আটকান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। তাঁদের দাবি সজল ধরা প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত চালু করার দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, একাধিকবার পঞ্চায়েতে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।

উল্লেখ্য, গতকালও বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, সমস্যা আছে সেই কারণে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দূত হিসাবে পাঠিয়েছেন সেই সমস্ত সমস্যার সমাধানের জন্য।