Khardaha By Election: গাড়ি থেকে নেমে ভুয়ো ভোটার ধরলেন বিজেপি প্রার্থী, রিপোর্ট তলব করল কমিশন
Fake Voter: ওই ব্যক্তির দাবি তিনি বৈধ ভোটার। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগের পরই তৎপর হয় কমিশন।
খড়দহ : সকাল থেকেই উত্তপ্ত খড়দহ। দফায় দফায় অভিযোগ এসেছে ওই কেন্দ্রের একাধিক বুথ থেকে। এবার ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী। একটি নয়, একাধিক বুথে একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন বুথের সামনে গুচ্ছ গুচ্ছ ভোটার কার্ড নিয়ে বসে আছেন কিছু লোকজন। সেই সব ভোটার কার্ড ভুয়ো বলেই দাবি বিজেপির। গাড়ি থেকে নেমে সেই সব লোকজনকে হাতেনাতে ধরেন বিজেপি প্রার্থী।
এ দিন যখন বুথ পরিদর্শন করছিলেন জয় সাহা। সেই সময় ওই লোকজনকে দেখতে পান তিনি। তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই তাঁদের ছুটে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। জয় সাহা বলেন, ‘বুথের ১০ মিটারের মধ্যে এত জমায়েত কী ভাবে হচ্ছে?’ এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন তিনি। কমিশন এই অভিযোগের রিপোর্ট তলব করেছে। ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার পরও কী ভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
২০৯, ২১০, ২১৩, ২১৪, ২১৬, ২১৭ নম্বর বুথে ভুয়ো ভোটার ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী জাল ভোট দেওয়ার জন্যই এই ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে পাঠিয়েছিল।’ সেক্টর অফিসার সেই সময় ছিলেন ঘটনাস্থলে। তিনি কমিশনকে জানিয়েছেন ভুয়ো ভোটারের ঘটনা ঘটেনি। বুথের বাইরে শুধুমাত্র জমায়েত হয়েছে বলেই অভিযোগ।
এ দিন সকালেই খড়দায় বিজেপি প্রার্থী জয় সাহাকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। ভোট পর্ব শুরু হতেই বিজেপির প্রাথী’ জয় সাহাকে খড়দহের যুগবেড়িয়ায় ১৯৪ নং বুথে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে খড়দার বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা বলেন, “শুধু রিপোর্ট তলব করলেই চলবে না। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থাও নিতে হবে। বুথের বাইরে বেআইনি জমায়েতকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে থেকেই জয় সাহা নানা ভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছিলেন। তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের রাতেই দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তোলেন তিনি। ফ্লেক্স, পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেন। উপ নির্বাচনের ঠিক আগের রাতেই বিজেপির আরেক দলীয় কর্মীর ওপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন। রাস্তায় ফেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনায় রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জয় সাহা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তোলেন তিনি। এদিকে, উপনির্বাচনের দিন সকালে খড়দার কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠ বুথে সকালে ঢুকতে যান তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পরে তাঁকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়।