Madan Mitra : ‘কামারহাটি মন্ত্রিত্ব পেল কি না বড় কথা নয়’, জন্মদিনে মদনের গলায় আক্ষেপের সুর?
Madan Mitra : ১৯৫৪ সালের ৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মদন মিত্রের। আজ তাঁর ৬৮তম জন্মদিন পালিত হল কামারহাটি বিধানসভা অঞ্চল জুড়ে।
বেলঘরিয়া: এক সময় তিনি ছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রী। সামলেছেন পরিবহন দফতরও। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যান। পরবর্তীতে ২০২১ সালে ফের জেতেন। কিন্তু, মন্ত্রী হননি। কথা হচ্ছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে নিয়ে। তবে মদন মমতার মন্ত্রিসভায় না থাকায় কিছুদিন আগে আক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছিল শাসক দলের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিছুদিনই আগে প্রসূন বলেছিলেন তাঁর দেখা সেরা ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্রই। মদন ছাড়া কাউকেই তিনি ক্রীড়া মন্ত্রী মানেন না।
তিনি বলেন, “ক্রীড়া মন্ত্রী যদি কেউ তৃণমূল সরকারের হয়ে থাকেন, একমাত্র মদন মিত্র। আর কাউকে ক্রীড়া মন্ত্রী মানি না আমি। আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি যে আমাদের মন্ত্রিসভায় ওর নাম নেই। আমি সাংসদ হয়ে বলছি, আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।” তবে মদনের কথা, “কামারহাটি মন্ত্রিত্ব পেল কি পেল না সেটা বড় কথা নয়। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় তাকে ঠিক মনে রেখেছেন।” তবে কী মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় খানিক আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে মদনের? এই প্রশ্নই জোরালো হচ্ছে।
স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭ বছর পর ১৯৫৪ সালের ৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মদন মিত্রের। আজ তাঁর ৬৮তম জন্মদিন পালিত হল কামারহাটি বিধানসভা অঞ্চল জুড়ে। বেলঘড়িয়া রথতলা জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু হয় তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠান। দিনভর পরনে থাকল সাদা পাঞ্জাবি। এই পাঞ্জাবি তাঁকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মদন। এ কথা জানিয়েই মদনের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ভোলেননি। কামারাহাটি মন্ত্রিসভায় আছে কী নেই ইট হার্ডলি ম্যাটার্স। কামারহাটি শুধু মানুষের সঙ্গে থাকতে চায়। কামারহাটি মমতার আর্শীবার্দ সঙ্গে নিয়ে মানুষের সঙ্গে থাকার লড়াই করতে চায়। এদিকে বেলঘড়িয়া রথতলা জগন্নাথ মন্দিরে বিধায়ককে হাতের কাছে পেয়ে তাঁর হাতে উপবার তুলে দেন এলাকার বাসিন্দারা। মানুষের ভালবাসা গায়ে মেখে কেকও কাটেন। প্রতিজ্ঞার সুরে বলেন, “শিক্ষায়, গৌরবে, আভিজাত্যে সারা বংলার মানুষের কাছে পৌঁছবে কামারহাটি।”