Nursing Student Murder : উত্তরবঙ্গে গ্রেফতার অশোকনগরের নার্সিং পড়ুয়া খুনে মূল অভিযুক্ত, ধরা পড়তেই দোষ কবুল

Nursing Student Murder: বিক্রমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া বয়ানের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জেলা পুলিশের তরফে। অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবার সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

Nursing Student Murder : উত্তরবঙ্গে গ্রেফতার অশোকনগরের নার্সিং পড়ুয়া খুনে মূল অভিযুক্ত, ধরা পড়তেই দোষ কবুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2022 | 5:26 PM

অশোকনগর: বাড়ি যাচ্ছি বলে বেরিয়ে গিয়েছিল রুমমেট। তারপরেই খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল নার্সিং ছাত্র উদ্ধব সরকারের রক্তাক্ত দেহ। কয়েকদিন আগে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় অশোকনগরে (Nursing Student Murder in Ashoknagar)। খোঁজ চলছিল মূল অভিযুক্ত তথা উদ্ধবের রুমমেট বিক্রম সরকারের। তদন্তের জন্য পুলিশের তরফে তৈরি করা হয়েছিল ৬ সদস্যের একটি বিশেষ টিম। বিক্রমের খোঁজে তল্লাশি চলছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। অবশেষে পুলিশি তদন্তে মিলল সাফল্য। এদিনই উত্তরবঙ্গের (North Bengal) সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিক্রমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিয়ে আসা হয় অশোকনগর থানায়। তোলা হয় বারাসত আদলতে। মৃত উদ্ধব ও অভিযুক্ত বিক্রম দুজনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে।  প্রত্যেকেই অশোকনগর রাজ্যসাধন হাসপাতালের প্রথম বর্ষের নার্সিং পড়ুয়া।

এদিকে উদ্ধব খুনের পরেই উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক সারেন জেলা পুলিশ সুপার। তারপরই পুলিশের বিশেষ দল অভিযুক্তকে ধরতে রওনা দেয় উত্তরবঙ্গে। সেখানে থেকেই গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। জিজ্ঞাসাবাদে সহপাঠীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন বিক্রম। এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে। সূত্রের খবর, বিক্রমের অভিযোগ ঘটনার দিন বিকেলে তাঁর পরিবার তুলে খারাপ কথা বলেন উদ্ধব। তারই প্রতিশোধ নিতে উদ্ধবকে মেরে ফেলার ছক কষেন বিক্রম। 

জানা গিয়েছে, ঘরে একা থাকার সুযোগে প্রথমে হাতুড়ি ও পরবর্তীতে ছুরি ব্যবহার করে এলোপাথারি কোপ বসায় উদ্ধবের শরীরে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর দেহ রেখে পালান বিক্রম। এরপর গঙ্গারামপুরে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করার চেষ্টা করেন। শেষে হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ারও পরিকল্পনাও করেছিলেন। গোপন সূত্রে সেই খবর আসে অশোকনগর থানার পুলিশের কাছে। বিক্রমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া বয়ানের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জেলা পুলিশের তরফে। অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবার সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।