Mid Day Meal Scam: হায় রে শিক্ষক! খুদে পড়ুয়াদেরও মিলের চাল ‘চুরি করে পয়সা হজম’
Mid Day Meal Scam: জানা গিয়েছে, পলাশতনু সামন্ত শ্যামপুরের শ্রীকোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ছিলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন ওই স্কুলের মিড ডে মিলের টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছেন
হাওড়া: স্কুলে ঢুকছিলেন। সে সময়েই তাঁকে ঘিরে ধরেন অভিভাবকরা। স্লোগান দিতে থাকেন। চিৎকার, হই হট্টগোল। শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাধা দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি শ্যামপুর শ্রীকোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গিয়েছে, পলাশতনু সামন্ত শ্যামপুরের শ্রীকোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ছিলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন ওই স্কুলের মিড ডে মিলের টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছেন। কারণ বিপুল টাকার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে ওই শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসাবে অন্য স্কুলে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে এই স্কুলের থেকে তাঁর ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের প্রয়োজন ছিল। স্কুল ইন্সপেক্টর এখনও তাঁকে সেই সার্টিফিকেট দেননি। সোমবার সেটাই নিতে স্কুলে এসেছিলেন তিনি। তখনই স্কুলে ঢোকার মুখে গ্রামবাসীদের বাধা মুখে পড়েন তিনি। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। এক গ্রামবাসী বলেন, “এখানে সব গরিব বাচ্চারা পড়তে যায়। দুপুরের খাবারটুকু জোটে। সেই চালও চুরি করছেন ওঁরা।”
স্কুলের অফিসের রুমে বেঞ্চে বসে থাকেন পলাশতনু। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি শুধু বলেন, “অভিযোগ মিথ্যা।” কেবল এটা বলেই বাকি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি। শ্যামপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর নীলাঞ্জনা বলেন, “রিলিজ দেবেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের কাছে ওঁকে সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দেবেন। সেটাই নিয়ম। যা অভিযোগ উঠল, সেটা বিভাগীয় তদন্তের বিষয়। সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।”