Barrackpore: ছয় মাসেই ২০০-র বেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ব্যারাকপুরে! কীভাবে আসছে এত বন্দুক-পিস্তল?

Firearms Seized : ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা নিজেই জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে ২০০ টিরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

Barrackpore: ছয় মাসেই ২০০-র বেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ব্যারাকপুরে! কীভাবে আসছে এত বন্দুক-পিস্তল?
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2022 | 2:55 PM

কলকাতা : ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বাড়ছে বন্দুক-পিস্তলে রমারমা। ক্রমেই বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে দুস্কৃতীদের। বাড়ছে বন্দুকবাজদের দৌরাত্ম্যও। গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়েই বেআইনি অস্ত্রের রমারমা চলছে বলে অভিযোগ। নিজের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতেই এবং এলাকার বাসিন্দাদের ভয় দেখাতেই কি পিস্তল-বন্দুকের আমদানি হচ্ছে? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে ব্যারাকপুর এলাকায়। বিহার – উত্তর প্রদেশ থেকে গোপনপথে এই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে মোটা টাকার বিনিময়ে ঢুকছে আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েই অস্ত্র ঢুকে পড়ছে এলাকায়। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা নিজেই জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে ২০০ টিরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালানো হচ্ছে।

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কথায়, “প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বিগত তিন বছরের হিসেব আমি দেখছিলাম। শেষ তিন বছরে যা হয়েছে, সেই তুলনায় এই বছর প্রথম ছয় মাসে বেশিরভাগ আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই বছর প্রথম ছয় মাসে ২০০-র বেশি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে।” কিন্তু কীভাবে আসছে এই আগ্নেয়াস্ত্র? প্রশ্ন করায় মনোজ ভার্মা জানান, “বিহার, মুঙ্গের-সহ বাইরের রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এগুলি আসছে।” আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে যে চোরা পথে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ঢুকে পড়ছে, সেগুলির দিকে কি নজর রাখছে না পুলিশ প্রশাসন? পুলিশের তরফে অবশ্য দাবি, যথেষ্ট পরিমাণেই নজরদারি চালানো হচ্ছে।

তবে বার বার এমন আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, মূলত তোলাবাজি এবং এলাকা দখলের লড়াইয়ের জন্যই এই বন্দুক, পিস্তল, গোলা-গুলির রমারমা। এলাকাবাসীদের কেউ কেউ আবার এও বলছেন, বোমাবাজি এখন আগের তুলনায় অনেকটা কমে গিয়েছে। সেই জায়গায় বেড়েছে বন্দুকবাজদের দৌরাত্ম্য। এখন ব্যবসায়ীদের কিংবা যে কোনও মানুষকে ভয় দেখাতে বা বদলা নিতে বলে গুলি করে খুন করে দিচ্ছে দুস্কৃতীরা, এমনই আশঙ্কার কথা উঠে আসছে এলাকাবাসীদের কথায়। এমন ঘটনার জন্য পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।