সূর্যাস্তের পরও উত্তোলিত জাতীয় পতাকা, বিতর্কের পর নামাতে গিয়ে বাঁশটাই খুলে ফেললেন শিক্ষকবন্ধু!
North 24 Parganas: অনান্য স্কুলের মতো এই স্কুলেই উদযাপিত হয় ৭৫ স্বাধীনতা দিবস। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন সকলেই।
উত্তর ২৪ পরগনা: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হতে তড়িঘড়ি পতাকা নামাতে গিয়ে গোটা স্ট্যান্ডটাই নামিয়ে ফেলেন স্কুলের শিক্ষাকর্মী। গাইঘাটার (Gaighata) বাগনা এফপি স্কুলের ঘটনায় বিতর্কের ঝড়।
অনান্য স্কুলের মতো এই স্কুলেই উদযাপিত হয় ৭৫ স্বাধীনতা দিবস। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন সকলেই। প্রধান শিক্ষকের বাড়ি চাঁদপাড়ায় হওয়ায় তিনি কোনও কারণে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়, গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত, এরপর স্কুলে মিষ্টি বিতরণ হয়, সকলে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু এসবের মাঝে সূর্যাস্তের পর জাতীয় পতাকা নামাতেই ভুলে যান স্কুলের শিক্ষকরা।
স্কুলের বাকি শিক্ষকরা বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন ততক্ষণে। এদিকে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও জাতীয় পতাকা না নামানোর খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। বিতর্ক বাড়তে থাকে। খবর পৌঁছয় স্কুলের শিক্ষকবন্ধু প্রণবকুমার দত্তের কাছে।
তিনি তড়িঘড়ি স্কুলে পৌঁছন। তবে বিতর্কে ঘাবড়ে যান তিনিও। জাতীয় পতাকা নামাতে গিয়ে গোটা স্ট্যান্ডটাই খুলে ফেলেন তিনি। তাতে বিতর্ক আরও বাড়ে। খবর সংগ্রহ করতে ততক্ষণে স্কুলে পৌঁছন চিত্র সাংবাদিকরাও। কিন্তু তাঁদেরকেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ক্যামেরার সামনে জাতীয় পতাকার অবমাননার কথা স্বীকার নিয়েছেন শিক্ষকবন্ধু। সম্পূর্ণ দোষ প্রধান শিক্ষকের উপরে চাপিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে এটা ঠিক। প্রধান শিক্ষক আমাকে প্রতিবারই বলে দেন। এবার ওঁ উপস্থিত থাকতে পারেননি। আমাকে ফোনে বলে দিয়েছিলেন জাতীয় পতাকা নামিয়ে দিতে। কিন্তু সেটা হয়নি। ভুল হয়েছে।” আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে দিলীপ ঘোষের তারিফে পঞ্চমুখ মমতা, জানালেন চায়ের আমন্ত্রণ