Khardaha Death: ফের খড়দহ! ঘরের গেটে হাত দিতেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

Khardah: চিকিত্সকরা জানিয়েছেন বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। জানা যাচ্ছে, বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ে বাড়ির গেটের ওপর পড়েছিল।

Khardaha Death: ফের খড়দহ! ঘরের গেটে হাত দিতেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের
খড়দহে বাড়ির সামনেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 7:17 AM

খড়দা: ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। আবারও বিদ্যুত্স্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। বুধবার রাতে ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম দীপক চৌধুরী (৬৫)। ঘটনাটি ঘটেছে আগরপাড়া (Agarpara) তারাপুকুর অঞ্চলে।

টানা বৃষ্টিতে খড়দহ, আগরপাড়া, সোদপুর, পানিহাটির বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রচুর মানুষের বাড়িতে জল জমে গিয়েছে। মঙ্গলবারই সন্ধ্যায় খড়দাতে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিন সদস্যের। এরই মধ্যে আবারও আগরপাড়াতে মৃত্যু।

জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধের বাড়ির সামনে জল জমে ছিল। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তিনি ঘর থেকে সবে পা বার করেছিলেন। চৌকাঠ পেরোতেই আচমকাই পড়ে গেলেন। প্রথমে বিষয়টা আঁচ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। পরে পাশেই একটি তার পড়ে থাকতে দেখে বুঝতে পারেন। খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। কোনও ভাবে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ বলরাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

চিকিত্সকরা জানিয়েছেন বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। জানা যাচ্ছে, বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ে বাড়ির গেটের ওপর পড়েছিল। সেখানে হাত দিতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খড়দহের পাতুলিয়াতে নিজেদের বাড়িতে জমা জলেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট দম্পতি ও তাঁদের কিশোর ছেলের। খড়দহের ই সরকারি আবাসনে নিজের স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে থাকতেন বছর চল্লিশের রাজা দাস। কিছুদিন ধরেই বৃষ্টির জেরে আবাসনের ভেতরেও জল জমেছে। জমা জলেই এদিন ঘরের মধ্য়েই বাড়ির কোনও কাজে বিদ্যুত্‍ সংযোগ করতে গিয়েছেল রাজা। সেইসময়ে তিনি বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হন। স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্ত্রী পৌলমী। তিনিও বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট ( Electrocution) হন। মা-বাবাকে বাঁচাতে আসেন বছর এগারোর শুভ দাস। সেসময় খাটের ওপর বসেছিল তার ছোট ভাই। কিন্তু, মা-বাবাকে বাঁচাকে গিয়ে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয় শুভও। বেঁচে যায় চার বছরের নাবালক।

এক পরিবারের তিন সদস্যের বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। খড়দহের পাতুলিয়ায় জমা জল নিষ্কাশনে সেচ দফতর থেকে ৬টি পাম্প ও দমকল ২টি পাম্প আনা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই চলছে জল নিষ্কাশনের কাজ। যদিও ফের বৃষ্টি হলে এলাকা জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বৃষ্টি বাড়লেই গোটা এলাকা এভাবেই জল থইথই করে। জল ঢুকে যায় বাড়িতেও। বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। রাজনৈতিক নেতাদের কেবল দেখা যায় নির্বাচনের সময়ে। পরে তাঁদের আর পাওয়া যায় না বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।

জলযন্ত্রণায় ভুক্তভোগী এক বাসিন্দার কথায়, “বৃষ্টি হলেই জল জমবে। এতদিন বলে বলেও লাভ হয়নি। তিন-তিনটে লোক মারা যাওয়ায় তারপর প্রশাসনের হুঁশ ফিরল! এখন তো আমরা বাড়িতে থাকতেও ভয় পাচ্ছি। অনেকে তো বাড়ি ছেড়ে চলেও যাচ্ছে, এই ভয়ে যাতে কারেন্ট শক না খেতে হয়! কবে জল নামবে কেউ জানে না।”

এলাকার জল নিষ্কাশনে আসা কর্তব্যরত দমকলের অফিসার জানিয়েছেন, খড়দহ-পাতুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা নীচু জায়গা। ভৌগোলিকভাবে এলাকার বিস্তৃতী অনেকটা কড়াইয়ের মতো। ফলে জল জমে। সেই জল পাম্পিং করে তোলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। অন্যদিকে, খড়দহে এখন কোনও বিধায়ক নেই। এলাকাটি পঞ্চায়েত বা পৌরসভার আয়ত্ত্বাধীনও নয়। ফলে, কাজ করতে সমস্যা। যদিও, প্রশাসন সূত্রে খবর, খড়দহ পাতুলিয়ার ওই বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশী ব্যবস্থা সুসংহত করতে ২ কোটি টাকার একটি পাম্পিং প্রোজেক্ট অনুমোদন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Khardah: জমা জলে একই পরিবারে ৩ সদস্যের মৃত্যু, তড়িঘড়ি ২ কোটির পাম্পিং প্রোজেক্টে অনুমোদন প্রশাসনের!