Mamata Bala Thakur: মমতাবালার শপথ বিতর্কে ধনখড়কে বিঁধলেন অভিষেক, কী বলছে বিজেপি
Mamatabala Thakur: মমতাবালার শপথগ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য়সভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। অতীতে তিনি বাংলার রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সেই সময় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ এক চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গতকাল রাতে রাজভবনে ধনখড়ের উত্তরসূরি বোসের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও।
নয়া দিল্লি ও কলকাতা: ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ মমতাবালা ঠাকুরকে এবার রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে তৃণমূল। বুধবার দিল্লিতে তাঁর সাংসদ পদে শপথগ্রহণ ছিল। সেই শপথবাক্য পাঠের সময় তাঁকে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন মমতাবালা। আর এই বিষয়টিকে নিয়েই হাতিয়ার করে ভোটের মুখে সরব হয়েছে তৃণমূল শিবির। দিল্লি থেকে গতকালই এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছিলেন মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেছিলেন, ‘দুঃখের বিষয় হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিয়ে আমি আজ সংসদে শপথগ্রহণ করতে পারলাম না। আমাকে থামিয়ে দিয়ে পরে আবার শপথগ্রহণ করানো হল।’ সাংসদ পদে শপথ নিয়ে বেরিয়ে মমতাবালার চ্যালেঞ্জ, ‘এর জবাব এবার মতুয়ারা দেবেন।’
উল্লেখ্য, মমতাবালার শপথগ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য়সভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। অতীতে তিনি বাংলার রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সেই সময় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ এক চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গতকাল রাতে রাজভবনে ধনখড়ের উত্তরসূরি বোসের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। বলেন, ‘বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, যিনি বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল, তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান মাঝপথে থামিয়ে দিয়েছেন। এই জগদীপ ধনখড় ধারাবাহিকভাবে বাংলার বিরোধিতা করেছিলেন বলে বড় পদ পেয়েছেন।’
এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসও। গত সন্ধেয় এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনাকে দেশের ইতিহাসের এক ‘কালো দিন’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ ও তৃণমূল শিবিরের খোঁচা নিয়ে পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছেন ঠাকুরবাড়ির অপর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর ব্যাখ্যা, শপথ নেওয়া হয় সংবিধান অনুযায়ী এবং যিনি শপথবাক্য পাঠ করেন তিনিও সংবিধান অনুযায়ীও শপথ গ্রহণ করেন। শান্তনু বলেন, ‘আমি যখন শপথ নিয়েছিলাম, জয় হরিচাঁদ, জয় গুরুচাঁদ বলার পর… আমি ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলছি, এটা বলা হত। কিংবা, আমি ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলছি… বলার পর শেষে গিয়ে জয় হরিচাঁদ, জয় গুরুচাঁদ বলতে হত। কারণ, ঈশ্বরের নামে শপথ নেওয়া হল সংবিধান মতে। যাঁরা ঈশ্বরের নামে শপথ না নেন, সামাজিকরূপে শপথ নেন, তাঁরা আলাদাভাবে নিতে পারেন।’