Kamarhati: বিনা বাধায় ভরাট হচ্ছে বিস্তীর্ণ জলাশয়, অথচ প্রশাসনের প্রত্যেকে বলছেন ‘জানি না’

Kamarhati: ঘটনাস্থল কামারহাটি ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে ঠিক ওয়ার্ড অফিসের পিছনেই রয়েছে প্রায় ১৫ বিঘা জলাশয়। রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর এসে তাতে মাটি ফেলে যাচ্ছে।

Kamarhati: বিনা বাধায় ভরাট হচ্ছে বিস্তীর্ণ জলাশয়, অথচ প্রশাসনের প্রত্যেকে বলছেন 'জানি না'
বাঁ দিকে- রাতের অন্ধকারে কীভাবে ভরাট হচ্ছে জলাশয় তার ছবি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2022 | 2:11 PM

কামারহাটি: ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’! কামারহাটির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জলাজমি ভরাট ইস্যুতে এই প্রবাদকেই কাউন্সিলর-কেএমডিএ -র মধ্যে সম্পর্কর রসায়ন মনে করছেন বিরোধী নেতারা। কারণ রাতের অন্ধকারে খোদ কাউন্সিলরের ওয়ার্ড অফিসের পিছনে ভরাট হয়ে যাচ্ছে পুকুর। আর তাতে নির্বিকার প্রশাসন। এমনটাই অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। তবে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পৌর প্রধানের পক্ষ থেকে।

ঘটনাস্থল কামারহাটি ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে ঠিক ওয়ার্ড অফিসের পিছনেই রয়েছে প্রায় ১৫ বিঘা জলাশয়। রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর এসে তাতে মাটি ফেলে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও বিষয়টি জানা নেই পুরসভা কিংবা স্থানীয় কাউন্সিলরের। এমনটাই জানিয়েছেন কাউন্সিলর। বোর্ড তৃণমূলের হলেও ঘটনাচক্রে এই ওয়ার্ডে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়। সম্পর্কে তিনি বিজেপি সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাই।

বিরোধীদের দাবি, কর্মসূত্রে তিনি প্রতিদিনই আসেন ওয়ার্ড অফিসে। তাঁর নাকের ডগায় জমি ভরাট হওয়া সত্বেও তিনি নির্বিকার। স্থানীয় সিপিএম নেতা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘ওয়ার্ডে জলাশয় ভরাট হবে আর স্থানীয় কাউন্সিলর জানবেন না এমনটা কখনও হতে পারে না। গোটা বিষয়টি সুশান্তবাবু নিজেও জানেন এবং কেএমডিএ অফিসারেরাও এই জলাশয় ভরাটের সঙ্গে যুক্ত।’ সিপিএমের সঙ্গে একই সুরে সুর মিলিয়েছে বিজেপিও। বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, ‘যে সমস্ত নেতার দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসছে তাঁরাই বলছেন আমি কিছু জানি না। কেএমডিএ অধিকারিকরাও বিষয়টায় নির্বিকার।’

এলাকার সংসদ সৌগত রায়ের কথায়, ‘ভরাটের বিষয় দেখা ৯৫ শতাংশ নাকি কেএমডিএ-র আওতায় পড়ছে না। আমাদের প্রশ্ন, বাকি পাঁচ শতাংশ দিয়েই বা নজর রাখা হচ্ছে না কেন?’

যদিও, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই কাউন্সিলর সুশান্তবাবুর বক্তব্য, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। জমিটি কেএমডি এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে তাতে কেউ মাটি ফেলে ভরাট করার চেষ্টা করলে তা অত্যন্ত অন্যায় কাজ। এই ভরাট আটকাতে তিনি সব রকম ব্যবস্থা নেবেন।

এ দিকে, যেহেতু জমিটি কেএমডিএ-র তত্বাবধানে রয়েছে সেহেতু সংস্থার আধিকারিকরাও যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাদের তত্ত্বে বিষয়টি যেন ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।’ অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেএমডিএ-র ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার দীপক ভট্টাচার্যকেও। ক্যামেরার সামনে না বলতে চাননি। তবে জানান যে, কেএমডিএ-র কাজ হল জল সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করা ও নজর রাখা। তাই কোথায় কেউ বা কারা মাটি ফেলে ওই জলাশয় ভরাট করছে তা নিয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।

স্থানীয় কাউন্সিলর এবং কেএমডিএ-র মত বিষয়টি ‘জানা নেই’ পৌর প্রধান গোপাল সাহারও। তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টির সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে শুনেছি। জমিটি কেএমডিএ-র। তবে কারা এই ধরনের কাজ করছে তা নিয়ে খোঁজ করা হবে।’