Sandeshkhali: ‘পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায় পুলিশের ভ্যানের চাকা’, দমতে নারাজ সন্দেশখালি
Sandeshkhali: ওই মহিলার ডান পায়ে লেগেছে। তিনি বলেন, "আমার হাতে লাঠি-সোঁটা কিছুই ছিল না। আমি তো আজ প্রতিবাদ করতে যাইনি। আমি আমার দোকানে যাচ্ছিলাম। আমি সাধারণ মানুষ। আমি কোনও দলে থাকি না।"
সন্দেশখালি: ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালির বেড়মজুর। একাধিক মাছের ভেড়িতে আগুন জ্বলে, চলে বাড়িঘরে বেপরোয়া ভাঙচুর। জনরোষ উপচে পড়ে। সকালে ডিজি রাজীব কুমার গ্রামে গিয়ে বলে আসেন, যাঁরা আইন ভাঙছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজি সন্দেশখালি থেকে ফিরতেই গ্রামে শুরু হয় ধরপাকড়। আর সেই ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন গ্রামের মহিলারা। অভিযোগ ওঠে, গ্রামের নিরীহদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আর ঠিক সে সময়েই পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ। এক মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশি ভ্যানের বিরুদ্ধে। ওই মহিলা পায়ে গুরুতর চোট পান।
আহত ওই মহিলার অভিযোগ, “আমি আমার দোকান খুলতে যাচ্ছিলাম, গ্রামের মোড়ে চার-পাঁচ জন মহিলা তখন দাঁড়িয়েওছিলেন। ওহ বাবা, আমি দাঁড়িয়েছিলাম। গাড়ি ওভাবে এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল, আমার পায়ের ওপর দিয়ে চাকা চলে যায়। পুলিশ বলছে, যে দাঁড়াবে, তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যাব। এটা পুলিশ বলছে। দুটো গাড়ি ছিল। সবাই চেঁচাচ্ছিল, ওর লেগেছে, কিন্তু পুলিশ দাঁড়াল না।”
ওই মহিলার ডান পায়ে লেগেছে। তিনি বলেন, “আমার হাতে লাঠি-সোঁটা কিছুই ছিল না। আমি তো আজ প্রতিবাদ করতে যাইনি। আমি আমার দোকানে যাচ্ছিলাম। আমি সাধারণ মানুষ। আমি কোনও দলে থাকি না।” তাঁর দেখভাল করছিলেন গ্রামেরই বাকি আন্দোলনকারী মহিলারা। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁরা। এক মহিলা চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, “আমরা পুলিশের ওপর কোনও ভরসা রাখতে চাই না। মেয়েটার পা তো ভেঙে যেতে পারত। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমরা বিচার চাই।”
সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় এই মুহূর্তে ঢুকতে শুরু করেছে পুলিশ ফোর্স। মহিলা উচ্চপদস্থ আইপএস আধিকারিকরা যাচ্ছেন ঘটনাস্থলে। বিক্ষোভ কড়া হাতে দমন করছে পুলিশ। যদিও পুলিশের বক্তব্য, না এটা পুলিশের গাড়িতে হয়নি। এই রাস্তা দিয়ে অনেক গাড়ি যাচ্ছে।