Sandeshkhali: ‘এটা Human Error’, সন্দেশখালির নেতার গ্রেফতারির প্রসঙ্গে কেন ভুল স্বীকার এডিজি সাউথ বেঙ্গলের?
Sandeshkhali: "এটা হিউম্যান Error। এখানে কোনও কিছুই ছিল না। যিনি অভিযোগ করেছিলেন তিনি ৯ তারিখ রাত ৯.৫০ নাগাদ অভিযোগ করেন। তার কল ডিটেলস ইত্যাদি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। SP আজকে রিপোর্ট দেবে।”
বসিরহাট: নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারি প্রক্রিয়া নিয়ে ভুল স্বীকার করলেন পুলিশ কর্তা। নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারি নিয়ে এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতীম সরকার বলেন, “তারিখ লেখায় ভুল হয়েছে। যে ভুল হয় সেটা দেখতে হয় ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত। এটা হিউম্যান এরর। এখানে কোনও কিছুই ছিল না। যিনি অভিযোগ করেছিলেন তিনি ৯ তারিখ রাত ৯.৫০ নাগাদ অভিযোগ করেন। তার কল ডিটেলস ইত্যাদি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ সুপার এই নিয়ে রিপোর্ট দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নিরাপদ সর্দারের অভিযোগ দায়েরের তারিখ ও এফআইআর-এর তারিখ নিয়ে একটা বিস্তর জলঘোলা তৈরি হয়। মঙ্গলবার তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশকে রীতিমতো তুলোধনা করে। বিষয়টি এমন ঘটেছিল, পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছিল ৯ফেব্রুয়ারি। আর যে অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর, তা জমা পড়েছিল তার পরের দিন! অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি! এই ঘটনার জন্য় কেন এই পুলিশ আধিকারিকদের এক্ষুনি গ্রেফতার করা হবে না? সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারি নিয়ে মঙ্গলবার এভাবেই পুলিশকে তুলোধনা করল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গোটা ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
নিরাপদর গ্রেফতারি নিয়ে রিপোর্ট তলবের পাশাপাশি বিচারপতি দেবাংশু বসাক শুনানিতে একাধিকবার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার শকিং। একজন নাগরিককে কি এভাবে গ্রেফতার করা যায়?’
গত ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদ। সন্দেশখালিতে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগের ভিত্তিতে নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ দিন জেলবন্দি থাকার পর মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হন তিনি। তবে হাইকোর্টের তরফ থেকে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত রোজ নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে নিরাপদ সর্দারকে।