Sandeshkhali: ‘ভাল ভাল মেয়েদের বেছে বেছে পেয়ে…’, শাহজাহান তো গৌণ, রাত ২টো বাজলেই ফর্মে আসতেন আসল দাদা! প্রধানের মুখে আরও বিস্ফোরক তথ্য
Sandeshkhali: দুর্নীতির অভিযোগের মাত্রা খুঁজতে গিয়ে উঠে এসেছে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। একের পর এক অভিযোগ অভিযোগে গ্রামের মহিলারা লাঠি, বাঁশ. গাছের ডাল হাতে রাস্তায় নেমেছেন। এবার অভিযোগে মান্যতা দিলেন গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রধান, গ্রামের শিক্ষিত মহিলাদের প্রতিনিধি। তিনি যা অভিযোগ বললেন, তা আরও হাড়হিম করা মতো।
সন্দেশখালি: সন্দেশখালি! গত তিন সপ্তাহে যা এখন বাংলার হটস্পট! রেশন দুর্নীতির তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশির মধ্য দিয়ে এই নাম শিরোনামে উঠে আসে। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহে এখন বাংলার মহিলাদের নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে সন্দেশখালি এখন বাংলার সীমানা পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুও বটে! গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, রাত বিরেতে মিটিংয়ের নামে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হত তাঁদের। দিনের পর দিন ধরে চলেছে এই অত্যাচার। আর সেক্ষেত্রে শেখ শাহজাহান পেরিয়ে নাম উঠে এসেছে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি শিবু হাজরা, জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সর্দারের নাম। শেখ শাহজাহান এখন গৌণ মাত্র! দুর্নীতির অভিযোগের মাত্রা খুঁজতে গিয়ে উঠে এসেছে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। একের পর এক অভিযোগ অভিযোগে গ্রামের মহিলারা লাঠি, বাঁশ, গাছের ডাল হাতে রাস্তায় নেমেছেন। এবার অভিযোগে মান্যতা দিলেন গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রধান, গ্রামের শিক্ষিত মহিলাদের প্রতিনিধি। তিনি যা অভিযোগ বললেন, তা আরও হাড়হিম করা মতো।
TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে তিনি বলেন, “বাচ্চাকাচ্চা বউ-ঝি রাতে ভয়ে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারে না। রাত দুটোর সময়ে বলছে, ওমুক জায়গায় যেতে হবে। সেখানে যেতে হবে। না গেলে বলছে সাদা শাড়ি হাতে ধরিয়ে দেবে। স্বামী ছেলে মেয়ে সন্তান সবাইকে নিয়ে আতঙ্কে রাত কাটাতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “ওমুক জায়গায় নিয়ে যাবে, মিটিং মিছিল করতে হবে। রাত দুটোর সময়েও নাকি মিটিং। যখন বলবে, তখনই যেতে হবে। একটা কাজ চাইতে গেলে ওদের প্রতিশ্রুতি দিতে হয় আগে, যে ওরা যে বলবে, সেটা করতে হবে। তবেই কাজে মিলবে।”
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাত দুটোর সময়ে কীসের মিটিং? স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রধানের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন গ্রামের বয়স্ক এক মহিলা। তিনি বলে উঠলেন, “উত্তর বোঝো না তোমরা। কীসের মিটিং। বাড়ির বউদের কেন নিয়ে যায় রাত দুটোর সময়ে বুঝতে পারছো না? আমরা মুখে সে নোংরা কথা বলতে পারছি না। ভাল ভাল মেয়েদের বেছে বেছে পেয়ে…”
প্রধান আরও বললেন, “দিনের পর দিন চলেছে এই অত্যাচার। সিধুলিয়া নিয়ে যাবে, কোথায় মালঞ্চ নিয়ে যাবে, ক্যানিংয়ে নিয়ে যাবে। আমরা শিক্ষিত বাড়ির বউরে কেউ সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে বেরোই না এখানে। না গেলে আমাদের স্বামী-সন্তানদের ডেকে অকথ্য অত্যাচার হত।”
গ্রামের মহিলারা এক জোট হয়ে একই অভিযোগ করছে। প্রকাশ্যে শিবু হাজার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন ওঁরা। পুলিশের চোখে শিবু এখনও ফেরার। উত্তম সর্দার পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তবে বসিরহাটের পুলিশ সুুপার বলছেন, “মহিলাদের যৌন নির্যাতনের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। ১০ সদস্যের বিশেষ দল যৌন নির্যাতনের কোনও অভিযোগ পায়নি। এখনও পর্যন্ত যে সব তথ্য মিলেছে, তার যথাযথ তদন্ত হবে।” তদন্তের ভিত্তিতে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাসও দিয়েছেন পুলিশ কর্তা।