Sankar Addhya: দলের কাউন্সিলরকেই খুন করেছিলেন শঙ্কর আঢ্য? বিস্ফোরক হিমাংশুর বাবার

Sankar Addhya: হিমাংশুর পরিবারের দাবি, ২০১০ সালে জ্যোৎস্না আঢ্য কংগ্রেসে হাত ধরে বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান হন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর আঢ্য পরিবারের হাবভাব বদলে যায়। এরপর ২০১৪ সালে হাওয়া উঠতে শুরু করে জ্যোৎস্নার চেয়ারম্যানের বোর্ডকে অনাস্থা প্রস্তাব এনে ফেলে দেবে।

Sankar Addhya: দলের কাউন্সিলরকেই খুন করেছিলেন শঙ্কর আঢ্য? বিস্ফোরক হিমাংশুর বাবার
মৃত হিমাংশু বৈরাগীকে খুনের অভিযোগ শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধেImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2024 | 1:07 PM

বনগাঁ: ইডি হেফাজতে রয়েছেন রেশন দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত তথা জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। দলেরই নেতা খুনে নাম জড়িয়েছে তাঁর। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সন্ধ্যেবেলা খুন হন বনগাঁর তৃণমূল নেতা হিমাংশু বৈরাগী। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এই খুনের পিছনে ‘মাস্টার মাইন্ড’ ছিলেন শঙ্কর। তবে অভিযুক্ত হিসাবে শঙ্করের নাম নেই কোথাও। থানায় এফআইআর করতেই পারেননি। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তি হোক চাইছেন হিমাংশুর পরিবার।

হিমাংশুর পরিবারের দাবি, ২০১০ সালে জ্যোৎস্না আঢ্য কংগ্রেসে হাত ধরে বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান হন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর আঢ্য পরিবারের হাবভাব বদলে যায়। এরপর ২০১৪ সালে হাওয়া উঠতে শুরু করে জ্যোৎস্নার চেয়ারম্যানের বোর্ডকে অনাস্থা প্রস্তাব এনে ফেলে দেবে। তাতে অন্য যে সমস্ত তৃণমূল নেতৃত্ব কাউন্সিলর ছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই যুবনেতা হিমাংশু বৈরাগী। সেই কারণে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ মৃতের বাবা রাকেশ বৈরাগীর।

রাকেশ বাবুর আরও দাবি, তিনি শঙ্কর আঢ্যর নামে সরাসরি অভিযোগ করতেই পারেননি। আঢ্য পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। তবে রাজি না হওয়ায় বারবার হুমকি আসতে থাকে। কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ এসে তাঁদের হয়রানি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রাকেশ বৈরাগী ও তাঁর মা ৭৫ বছর বয়সেও জেল খাটেন। মিথ্যা কেস দিয়ে পুলিশ তাঁদের দুজনকে ফাঁসিয়েছিল বলে দাবি মৃতের বাবার।

হিমাংশুর বাবা জানিয়েছেন, ছেলের মৃত্যু মামলায় আইনজীবী নেওয়ারও সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি তাঁদের। পরবর্তীতে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য তাঁদের হয়ে মামলা লড়েন। বনগাঁ কোর্ট থেকে এই মামলা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে স্থানান্তরিত হয়। তবে শঙ্কর আঢ্য গ্রেফতার হওয়ায় খুশি হিমাংশুর পরিবার। বৃদ্ধা ঠাকুমা আজও নাতির খুনের অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করছেন। রাকেশ বৈরাগী বলেন, “হিমাংশুর পিছন দিক থেকে গুলি চালিয়েছিল। মোট পাঁচটা গুলি লেগেছিল ওর দেহে।” এই বিষয়ে বনগাঁ জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “তৃণমূল প্রভাব খাটানোর রাজনীতি করে না। আইন আইনের পথে চলবে। যদি তিনি দোষী হন তাহলে শাস্তি পাবেন।”