Teacher transfer: ‘পুরোনা হেড মাস্টার চাই!’ প্ল্যাকার্ড হাতে পথে কচিকাচারা
Basirhat: ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা তাঁদেরকে গেটে তালা বন্দী করে রেখে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
বসিরহাট: অন্য সব সম্পর্ক একদিকে। শিক্ষক-ছাত্রর সম্পর্ক অন্যদিকে। তা যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিল আজকের এই ঘটনা। পুরোনো প্রধান শিক্ষককে ফিরিয়ে আনতে হবে। নচেত মিড-ডে মিল নেবেন না পড়ুয়ারা। এইরকমই দাবি তুলে বিক্ষোভে সামিল তারা।
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার দক্ষিণ পিফা এফ.পি. স্কুল। প্রতিদিনের মতোই আজও স্কুলে পৌঁছান প্রধান শিক্ষক তাজঊদ্দীন আহমেদ। সঙ্গে স্কুলে আসেন আরও আটজন শিক্ষক। কিন্তু আজকের দিনটা অন্যদিনের তুলনায় যে আলাদা হবে তা হয়ত ভাবতে পারেননি তাঁরা।
আজ স্কুলে ঢুকলেই হঠাৎ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা তাঁদেরকে গেটে তালা বন্দী করে রেখে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাঁদের দাবি, আমাদেরকে না জানিয়ে পুরনো প্রধান শিক্ষক মধুসূদন সানাকে স্থানান্তরিত করে দেওয়া কেন হল।
জানা গিয়েছে, আজ হঠাৎই এক নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজঊদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব নিয়েছেন স্কুলের। পাশাপাশি পুরানো ওই প্রধান শিক্ষক বাদুড়িয়ার আরবেলিয়া বালিকা বিদ্যালয় দায়িত্ব নিয়েছেন।
এরপরই পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্কুলে থাকা মোট ২২৮ জন। শুধু ছাত্র-ছাত্রী নয় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক-অভিভাবিকারা। এরপরই প্রধান শিক্ষককে ফিরিয়ে আনার দাবিতে তারা তালাবন্দি করে রাখেন শিক্ষকদের।
ঘটনার বিষয়ে এক খুদে পড়ুয়া জানায়, “আমাদের ওই স্যার খুব ভালো পড়াতেন। কিন্তু জানি কেন হঠাৎ করে তাঁকে বদলি করে দেওয়া হল। ” আর এক অভিভাবক বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ে যে সকল পড়ুয়া ছিল তারা প্রত্যেকেই চাইছেন যাতে পুরোনা স্যার ফেরত আসেন। কী কারণে তাকে বদলি করা হল তা আমরা জানি না। ”
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজউঊদ্দিন আহমেদ বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি করছেন তারা করতেই পারেন। আমরাও চাই প্রধান শিক্ষক ফিরে আসুন। পুরো ঘটনা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে আমরা জানাবো।”
পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা জানায়, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককে না ফিরিয়ে আনা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা মিড-ডে-মিল নেব না।
আরও পড়ুন: Congress Rally: ‘মূল্যবৃ্দ্ধি হঠাও’, নয়া দাবিতে আন্দোলনে কংগ্রেস, থাকবেন সনিয়া রাহুলও