Corona Report: নেগেটিভ রোগীকে পজ়েটিভ বানিয়ে দু’দিনে ৭০ হাজারের বিল ধরাল হাসপাতাল

Agarpara: গত ৪ জানুয়ারি ভর্তি হন। এরপর ৬ জানুয়ারি ছেড়ে দেওয়া হয় রোগীকে তখনই বিল হয় ৭০ হাজার।

Corona Report: নেগেটিভ রোগীকে পজ়েটিভ বানিয়ে দু'দিনে ৭০ হাজারের বিল ধরাল হাসপাতাল
নেগেটিভ রোগীকে পজ়েটিভ বলে চালিয়ে দিল হাসপাতাল (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2022 | 2:28 PM

আগরপাড়া: প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। লাফিয়ে-লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমণ গ্রাফ। আর এই সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষকে লুটতে শুরু করেছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী। করোনা নেগেটিভ রোগীকে পজ়েটিভ বলে ভর্তি রেখে দিল বেসরকারি হাসপাতাল। আর তারপর? অত্যাধিক বিল ধরাল রোগীর পরিবারের হাতে।

কী ঘটেছে? আগরপাড়া স্টেশন রোডের বাসিন্দা রাজিব ভট্টাচার্য। পেশায় তিনি এক বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। গত ৪ জানুয়ারি রাজিব বাবু তাঁর শাশুড়িকে পা ভেঙে যাওয়ার কারণে আগরপাড়া নেতাজি সেবায়ন নামে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় ওই পৌঢ়া করোনা পজ়েটিভ। সেই কারণে তাঁর ‘স্পেশাল চিকিৎসা’ হবে।

এবার করোনার স্পেশাল চিকিৎসা বলে কথা। তার জন্য খরচ তো অনেক লাগবে। তবুও রাজিববাবু তাঁর শাশুড়িকে সেই হাসপাতালেই ভর্তি করেন। এবার ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার বিল ধরান প্রায় ৭০ হাজার টাকা। অর্থাৎ দুদিনের বিল ৭০ হাজার।

বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরীরত কর্মী কোথা থেকে পাবেন এত টাকা? সেই কারণে টাকার যোগান আর না করতে পেরে মাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হলেও তারা সেটা দিতে অস্বীকার করেন।

পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজিব বাবুর শাশুড়ি মা অঞ্জলি মজুমদারের কোভিড রিপোর্ট দেয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট দেখার পর অবাক হয়ে যান রাজিব ও তার গোটা পরিবার। দেখা যায় ওই পৌঢ়ার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। এরপর রাজিব বাবু বুঝতে পারেন যে তিনি হাসপাতালের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। একজন নেগেটিভ রোগীকে পজ়েটিভ বলে হাসপাতালে ভর্তি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমনটাই অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি তারা।

এই বিষয়ে ওই পৌঢ়ার মেয়ে জানান, “মা পড়ে গিয়ে ব্যাথা পান পায়ে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ওরা র‌্যাপিড টেস্ট করায়। সেই টেস্ট যদিও আমাদের সামনে হয়নি।এরপর মাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। এরপর যখন মাকে ওরা ছেড়ে দেয় দুদিনে ৭০ হাজারের কাছে বিল হয়ে যায়। যেটা আমাদের পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে যায়। এরপর বাড়ি আনার সময় আমরা ওদের কাছে করোনা রিপোর্ট চাই। কিন্তু ওরা দেয়নি। পরে আজ সকালে ওরা আমাদের হোয়াটস অ্যাপে রিপোর্ট পাঠায়। সেই রিপোর্টে দেখি নেগেটিভ। এবার মাকে ওরা যে ওষুধ দিয়েছে তা করোনার। এই সমস্যার কি আদৌ কোনও সমাধান আছে? ”

আরও পড়ুন: Gautam Deb took booster dose: শিলিগুড়িতে বুস্টার ডোজ় নিলেন গৌতম দেব