Basirhat TMC: কী অবস্থা! আদালতের সমনপ্রাপ্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়েই শাসকদলের বাধার মুখে পুলিশ

West Bengal: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার চাঁপালি গ্রামের ঘটনা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত্রিবেলা ওই এলাকায় আদালতের সমনপ্রাপ্ত অভিযুক্ত সাইফুদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল মিনাখাঁ থানার পুলিশ।

Basirhat TMC: কী অবস্থা! আদালতের সমনপ্রাপ্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়েই শাসকদলের বাধার মুখে পুলিশ
গ্রেফতার হওয়া চারজন (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 12:53 PM

বসিরহাট: কী অবস্থা! আদালতের সমনপ্রাপ্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়েই শাসকদলের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পুলিশ। উপ-প্রধান ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সহ গ্রেফতার তিন।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার চাঁপালি গ্রামের ঘটনা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত্রিবেলা ওই এলাকায় আদালতের সমনপ্রাপ্ত অভিযুক্ত সাইফুদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল মিনাখাঁ থানার পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময় কাজে বাধা দেওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, সাইফুদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতারের সময় বাধা সৃষ্টি করে তিন তৃণমূল নেতা-কর্মী। ঘটনায় মিনাখাঁ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম লস্কর, চাঁপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল হামিদ আলি মোল্লা ও তৃণমূল কর্মী আমিরুল মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ‌। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইফুদ্দিন মোল্লা নামক ওই অভিযুক্তকে আদালতের সমন পাওয়ার পর থেকে খুঁজছিল মিনাখাঁ থানার পুলিশ। এ দিন, তাকে গ্রেফতার করতে গেলেই পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ওই তৃণমূল নেতা-কর্মী সহ বেশকিছু গ্রামবাসীরা। গ্রেফতারের পর বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারকে আমিরুল মোল্লা ও আশরাফুল ইসলাম লস্করকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত ও উপপ্রধান আবদুল হামিদ আলি মোল্লাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শমিক রায় অধিকারী বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। দলের সভানেত্রী ও রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা পুলিশকে দল নির্বিশেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। যদি এক্ষেত্রে সত্যিই এরকম কিছু ঘটে থাকে তবে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।” অপরদিকে, বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, “শুধু মিনাখাঁ কেন বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার কোথাও আইনের শাসন নেই। তারা যখনই কোন রাজনৈতিক আন্দোলন করতে যান, তখন শাসকদলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে পুলিশরা তাঁদের সর্বদাই দমন-পীড়ন করেন। আজ পুলিশকেই শাসকদলের নেতাকর্মীদের অবরোধের মুখে পড়তে হয়েছে।”

কিন্তু মারামারির অপরাধে জড়িত আদালতের সমনপ্রাপ্ত সাইফুদ্দিন মোল্লাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গিয়ে শাসক দলের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়ায় যথেষ্টই চাপে পড়েছে মিনাখাঁর তৃণমূল কংগ্রেস সেই বিষয় মনে করছে রাজনৈতিক মহল।