Belgharia expressway: বাড়ানো হবে রাস্তা, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গজিয়ে ওঠা দোকানগুলিকে উচ্ছেদ পুলিশের
Belgharia expressway: পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বড় বাধা ছিল রাস্তার ধারে থাকা এই দোকানগুলি। যার জন্য সরকারকে যেতে হয় আদালতে।
বেলঘরিয়া: বৃহস্পতিবার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে (Belgharia expressway) জুড়ে চলল উচ্ছেদ। দু’পাশে গজিয়ে ওঠা বেআইনি দোকানগুলিকে উচ্ছেদ করা হয়। বিক্রেতাদের অভিযোগ, কাজ চলাকালীন পুলিশের সামনেই চলেছে লাগাতার লুটপাট। আর নির্বিকার দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ। আজ কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের মালঞ্চ থেকে শুরু হয় উচ্ছেদ। গোটা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেস জুড়ে এই উচ্ছেদ হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য এই উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তৈরি করা হবে সার্ভিস রোড।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বড় বাধা ছিল রাস্তার ধারে থাকা এই দোকানগুলি। যার জন্য সরকারকে যেতে হয় আদালতে। আদালত থেকে উচ্ছেদের নির্দেশ আসার পর তৎপর হয় পুলিশ। প্রথমে দেওয়া হয় নোটিশ। করা হয় মাইকিং। তা সত্ত্বেও দখল না সরায় শুরু হয় উচ্ছেদ।
তবে এই উচ্ছেদের ফলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে ব্যবসায়ীদের। দীর্ঘদিন ধরে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসের ধারে চলছিল তাঁদের ব্যবসা। হঠাৎ এই উচ্ছেদের নির্দেশের ফলে রুজি রুটি হারাবেন। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বিক্রেতা জানান, “আমার একটা মার্বেলের মূর্তির দোকান ছিল। দোকানটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন চিন্তা আমাদের কী হবে। নোটিস আগে দিয়েছিল। এখন কী করব। আমাদের একটু সময় দিলে ভাল হতো। প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। যে পারছে সে মূর্তি নিয়ে চলে যাচ্ছে। ঢুকে পড়ছে দোকানে।আর মূর্তি নিয়ে চলে যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, ২০২১ এর ১৭ জুলাই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সম্প্রসারণের জন্য সুকান্ত পল্লী এলাকা থেকে বেশ কিছু জায়গার দোকান সরানো হয়েছিল। সেই সময় রাজনৈতিক চাপে পড়ে বেশ কিছুটা বিলম্বিত হতে হয়েছিল।তারপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল কাজ। এরপর রাজনৈতিক জট কাটলে পুনরায় দোকানগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়। মূলত, এয়ারপোর্টের দিক থেকে যে রাস্তাটি দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাচ্ছে সেই রাস্তার দু’পাশে এদিনের উচ্ছেদ চলছে। প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উপস্থিত রয়ছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট, দক্ষিণ দমদম পুরসভা, দমদম পুরসভা ও ন্যাশানাল হাইওয়ের সদস্যরা।