‘স্মৃতির উদ্দেশ্যে’… পারলৌকিক অনুষ্ঠানেই ২১ জুলাই পালন তৃণমূল কর্মীদের
21 July: কুলিয়াগড়ে বাত্সরিক কাজের নিয়ম মেনে চলল তর্পণাদি। ১৩ জন শহিদের উদ্দেশে অন্নদান, তিলদান ও জলদান করলেন অধুনা তৃণমূল কর্মীরা।
উত্তর ২৪ পরগনা: এ এক অন্য ২১ জুলাই (21 July)। তৃণমূল সুপ্রিমোর জায়ান্ট স্ক্রিনে বার্তাদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; সেই সব কিছু ছাপিয়ে নব প্রকারে শহিদ দিবস পালন করলেন কাচরাপাড়া কুলিয়াগড়ের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। শহিদস্মরণে, বাত্সরিক পারলৌকিক ক্রিয়াদি পালন করা হল নিয়ম মেনে। বুধবার সকাল থেকে কুলিয়াগড়ে মন্ত্রপাঠ করে পুজো দিয়েই হল শহিদ স্মরণ।
এদিন, কুলিয়াগড়ে বাত্সরিক কাজের নিয়ম মেনে চলল তর্পণাদি। ১৩ জন শহিদের উদ্দেশে অন্নদান, তিলদান ও জলদান করলেন অধুনা তৃণমূল কর্মীরা। পাশাপাশি, চলল খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান। সব কিছু বাদ রেখে কেন এইভাবে তর্পণের অনুষ্ঠান? স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, “তর্পণ বা পারলৌকিক ক্রিয়া আসলে পালন করা হয় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে। আমাদের যে ১৩ জন শহিদ ১৯৯৩ সালের এই দিনে প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের বলিদান স্মরণ করেই এই উদ্যোগ। পাশাপাশি যাঁরা তৃণমূলের নবপ্রজন্মের ধারক তাঁদের কাছে শহিদদের আত্মবলিদানের কথা স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য়। সেইজন্যই একটু ভিন্ন আঙ্গিকে পালন করার চেষ্টা।”
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই (21 July) বঙ্গ রাজনীতির এক পালাবদলের দিন। সচিত্র ভোটার কার্ডের দাবিতে ওই দিন অধুনা মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযানে সামিল হয়েছিলেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ সেই মিছিলে গুলি আচমকাই গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে অকালে ঝরে যায় ১৩ টি প্রাণ। ১৩ জনের সেই মৃতদের তালিকায় ছিলেন শ্রীকান্ত বর্মা, বন্দনা দাস, দিলীপ দাস, মুরারি চক্রবর্তী, রতন মণ্ডল, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ রায়, অসীম দাস, কেশব বৈরাগী,রঞ্জিত্ দাস, প্রদীপ রায়,আব্দুল খালেক এবং ইনু মিঞা। এরপরের বছর থেকেই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলেন, ২১ জুলাই থেকেই আসলে পৃথক তৃণমূল কংগ্রেসের বীজ বপন হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়। আরও পড়ুন: ‘মঞ্চে’ মমতা, আসন ছাড়লেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা!