Sandeshkhali: মোদী আসার আগেই ধৃত শাহজাহান সাসপেন্ড, মাস্টারস্ট্রোক খেলল কি তৃণমূল?
TMC: যেহেতু রাজ্যের পুলিশের হাতেই গ্রেফতারি হয়েছেন, তাই এরপরও যদি শাহজাহানের বিরুদ্ধে দলগতভাবে কড়া পদক্ষেপ না করা হত, তাহলে বিরোধীদের দিক থেকে আবারও প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা ছিল। সেদিক থেকে তৃণমূলের তরফে দলীয় স্তরে কড়া পদক্ষেপ অবশ্যম্ভাবী ছিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তবে প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের মুখেই এই শাহজাহানকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
কলকাতা: শুক্রবারই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ঠিক আগেই রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহান। গ্রেফতারির পরই তৃণমূলও দল থেকে সাসপেন্ড করে দিয়েছে শাহজাহানকে। যেহেতু রাজ্যের পুলিশের হাতেই গ্রেফতারি হয়েছেন, তাই এরপরও যদি শাহজাহানের বিরুদ্ধে দলগতভাবে কড়া পদক্ষেপ না করা হত, তাহলে বিরোধীদের দিক থেকে আবারও প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা ছিল। সেদিক থেকে তৃণমূলের তরফে দলীয় স্তরে কড়া পদক্ষেপ অবশ্যম্ভাবী ছিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তবে প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের মুখেই এই শাহজাহানকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কারণ যেভাবে সন্দেশখালির ইস্য়ুতে শাসক শিবিরের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরে সেই চাপ আরও বাড়ানোর পথে হাঁটছিল গেরুয়া শিবির। ঠিক এমন সময়ে শাহজাহানকে দল থেকে সাসপেন্ড করা কাকতালীয়ও হতে পারে, আবার তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোকও হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। তৃণমূলের এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন দলের স্বচ্ছতার ভাবমূর্তি ধরে রাখার চেষ্টা দেখা গেল রাজ্যের শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে একইভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বঙ্গ সফরের মুখে বিজেপির সন্দেশখালির মতো হাতে গরম ইস্যুতে কিছুটা জল ঢালতেও সক্ষম হল তৃণমূল। অন্তত এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা থেকে সাংবাদিক বৈঠকে শাহজাহানকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণার সময় ব্রাত্য বসুর গলাতেও তেমনই শোনা গেল। ব্রাত্য বলেন, ‘বিজেপি চাইছিল ওনার থেকে খবর তৈরি করতে। ইস্য়ু বাঁচিয়ে রাখতে চাইছিল। সন্দেশ শব্দের আরেকটি অর্থ হল খবর। প্রধানমন্ত্রী আগামিকাল যখন আসবেন, তিনি দেখবেন সন্দেশ-খালি। খবর নেই।’
শুধু ব্রাত্যই নয়, ডেরেক ও’ব্রায়েনের মুখেও শোনা গেল বিজেপির উদ্দেশে তির্যক খোঁচা। তৃণমূল সাংসদের মুখেও শোনা গেল, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী আসা পর্যন্ত এই ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চাইছিল বিজেপি। অন্তত ৮-১০ মার্চ পর্যন্ত এটাকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছিল বিজেপি। কিন্তু সেটা হল না।’
এদিকে যেভাবে আজ শাহজাহান শেখকে গ্রেফতারির পর আদালতে পেশ করা হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি শিবিরও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘শাহজাহানের আজ আদালতে ঢোকার ভিডিয়ো দেখার পর আর কোনও সন্দেহ নেই। মনে হচ্ছে, শাহজাহান পুলিশকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, অলিম্পিকে দুটো পদক জিতে বেরোচ্ছে।’ সুকান্তর বক্তব্য, ‘গ্রেফতার করা হোক বা সাসপেন্ড করা হোক পুরোটাই মুখ বাঁচানোর জন্য।’