Didir Doot: ‘রাস্তা না হলে ভোট দেবো না’, ‘দিদির দূত’ এলাকায় যেতেই মুখের উপর বলে দিলেন গ্রামের লোকেরা
North 24 Parganas: এদিন ট্যাংরা কলোনিতে দিদির দূত হিসাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে যান বিশ্বজিৎ দাস। সেই সময়ই গ্রামের মহিলারা তাঁকে ঘিরে রাস্তার দাবি তোলেন।
বারাসত: ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হয়ে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের ট্যাংরা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। গ্রামে ঢোকার মুখে বিধায়ককে দেখে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। বারবার পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। রাস্তা না হলে ভোট বয়কটেরও ডাক দেন তাঁরা। যদিও বিধায়কের দাবি, এলাকাবাসীর দাবি ন্যায্য। তবে একইসঙ্গে বিশ্বজিতের দাবি, সরকার পথশ্রী প্রকল্পে বহু টাকা ব্যয় করে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার কাজ শুরু করেছে। ধীরে ধীরে সমস্ত রাস্তাতেই কাজ হবে। যদিও এদিনের ঘটনার পর বিজেপির খোঁচা, পদ্ম টিকিটে জিতে এখন তৃণমূলে গিয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর গ্রহণযোগ্যতার মতো তাঁর বর্তমান দলের গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নের মুখে।
এদিন ট্যাংরা কলোনিতে দিদির দূত হিসাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে যান বিশ্বজিৎ দাস। সেই সময়ই গ্রামের মহিলারা তাঁকে ঘিরে রাস্তার দাবি তোলেন। স্থানীয় বাসিন্দা প্রভা মণ্ডল বলেন, “রাস্তার যা অবস্থা, আমাদের রাস্তা চাই। রাস্তা না পেলে কেউ ভোট দেব না। বহু বছর ধরে রাস্তার এই অবস্থা। বিধায়ক বললেন, দেখছেন। গিয়ে জানাবেন। পঞ্চায়েতের সদস্যকে বহুবার জানানো হলেও তারা কানে তোলে না। দেখছি, দেখব করেই কাটিয়ে দিয়েছে।”
অন্যদিকে এ নিয়ে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “সাধারণ মানুষের দাবি ন্যয়সঙ্গত। রাস্তাটা সারানো দরকার। দীর্ঘদিন আগের রাস্তা। পাশের রাস্তাতেই পথশ্রীতে কাজ হবে। এটাও যাতে তাড়াতাড়ি করা যায় আমি কথা বলব। পাশের একটি রাস্তার জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা রিপোর্ট পাঠিয়ে দেব আজই।” যদিও বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, “ট্যাংরা কলোনিতে দিদির দূত হয়ে গিয়েছিলেন যিনি বিজেপির বিধায়ক এবং তৃণমূলের সভাপতি। মানুষ তাঁকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। গ্রামের মানুষের বক্তব্য পঞ্চায়েত কোনও কাজই করেনি এলাকায়। মিড ডে মিলের সমস্যা থেকে রাস্তা, জল কিছুই নেই। এসব বলে গ্রাম থেকে তাড়ানো হয়েছে ওনাকে। এখনও ওনাদের লজ্জা নেই।”