Sandeshkhali Arrest: পুলিশ বলছে ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ব্যান্ডেজ, ওষুধ দেখিয়ে অন্য দাবি ধৃতের স্ত্রীর
Sandeshkhali: মেহবুরের স্ত্রী জানাচ্ছেন, স্বামী ঘটনার দিন বাড়িতেই ছিলেন। স্বামী একটি ইটভাটায় কাজ করেন। কিন্তু বাইক দুর্ঘটনার কারণে, প্রায় দিন দশেক ধরে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। অসুস্থ হওয়ার কারণে কাজে যেতে পারছিলেন না। গত ২ জানুয়ারি থেকে মেহেবুর বাড়িতেই ছিলেন বলে দাবি স্ত্রীর।
সন্দেশখালি: সরবেড়িয়ায় ইডির উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে প্রথম গ্রেফতারি। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে মেহেবুর মোল্লা ও সুকমল সর্দারকে। পুলিশ বলছে, ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে তাঁদের। অথচ, মেহবুরের স্ত্রী জানাচ্ছেন, স্বামী ঘটনার দিন বাড়িতেই ছিলেন। স্বামী একটি ইটভাটায় কাজ করেন। কিন্তু বাইক দুর্ঘটনার কারণে, প্রায় দিন দশেক ধরে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। অসুস্থ হওয়ার কারণে কাজে যেতে পারছিলেন না। গত ২ জানুয়ারি থেকে মেহেবুর বাড়িতেই ছিলেন বলে দাবি স্ত্রীর।
মেহেবুরুর স্ত্রীর দাবি, বাইক থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট লেগেছিল স্বামীর। এরপর সরবেড়িয়া বাজার এলাকায় ডাক্তারও দেখিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার সকালেও ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না মেহেবুরের। যদিও ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার কোনও প্রেসক্রিপশন দেখাতে পারেননি তাঁর স্ত্রী। তবে বাড়িতে থাকা ওষুধপত্র, ব্যথার স্প্রে, ব্যান্ডেজ বের করে দেখিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।
এমনকী ব্যথার কারণে স্বামী বেশি হাঁটাচলা করার মতো পরিস্থিতিতেই ছিলেন না বলে দাবি মেহেবুরের স্ত্রীর। খাওয়া দাওয়া করানো থেকে শুরু করে স্নান করার জন্য জল এনে দেওয়া, সবই স্ত্রীই করতেন বলে দাবি।
মেহেবুরের স্ত্রী বার বার দাবি করলেন, তাঁর স্বামী ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নন। তবে মঙ্গলবার সকালে ডাক্তার দেখাতে যাবে বলে সরবেড়িয়া বাজারে যাওয়ার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি মেহেবুর। সেই সময় একাই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মেহবুর। এরপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর, দাবি পরিবারের। শেষে আজ তাঁরা জানতে পারেন, সন্দেশখালির ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।