বঙ্গ শিয়রে ফের বজ্র বিপদ! নদিয়ায় মৃত ১
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদিয়ার চাকদহের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের শ্যামল দাস-সহ আরও ছয়জন এদিন দুপুরে তাতলা গ্রামে বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলেন। সেইসময়ে, আচমকা বৃষ্টি শুরু হয়। সকলে তখন নিরাপদ স্থানে পৌঁছে গেলেও শ্যামলবাবু যেতে পারেননি।
নদিয়া: বজ্রবিপর্যযের জেরে বাংলা এখন চরম বিপদসীমায়। চলতি মাসে বজ্রাঘাতে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। এ বার সেই তালিকা দীর্ঘ হল আরও। বৃহস্পতিবার দুপুরে, চাকদহে বাজ (Thunderstorm) পড়ে মৃত্য়ু হল এক রাজমিস্ত্রীর।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদিয়ার চাকদহের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের শ্যামল দাস-সহ আরও ছয়জন এদিন দুপুরে তাতলা গ্রামে বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলেন। সেইসময়ে, আচমকা বৃষ্টি শুরু হয়। সকলে তখন নিরাপদ স্থানে পৌঁছে গেলেও শ্যামলবাবু যেতে পারেননি। তার আগেই তাঁর মাথায় বাজ পড়ে। দ্রুত তাঁকে চাকদহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা মৃত (Dead) বলে ঘোষণা করেন।
গত এক সপ্তাহের মধ্যেই রানাঘাটে পরপর দুদিনে তিনজন, ভীমপুরে দুইজন এবং নবদ্বীপে একজনের মৃত্যু হয় বজ্রাঘাতে। পরিবেশবিদদের একাংশের মতে মাত্রাতিরিক্ত বাজ পড়ার নেপথ্য়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বৃদ্ধি। সমীক্ষা বলছে, ২০১৯-২০২০-র মধ্যে একবছরের ব্যবধানে বাংলায় বাজের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ। মৌসম ভবন (IMD) সূত্রে খবর, সোমবার কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিপাতের মধ্যে প্রায় ৬১ হাজার বাজের উৎপত্তি হয়েছে। তারমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজার বাজ নেমে এসেছে মাটিতে। বাকিগুলি মিলিয়ে গিয়েছে আকাশেই। পরপর রাজ্য়ে বজ্রাঘাতের জেরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মৃতদের পরিবারের হাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। জেলায় প্রশাসনের তরফ থেকেও চলছে সতর্কীকরণের কাজ। ইতিমধ্যেই, বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী গত সোমবার টুইট করে এই কথা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মর্গে উপচে পড়ছে দেহ, দুর্গন্ধে টেকা দায়! ‘ফ্রিজ খারাপ’, সাফাই হাসপাতাল সুপারের