Anubrata Mondal: এজলাসে বিচারক, ঢুকেই ‘দীপক, দীপক’ বলে ডাকতে শুরু করলেন কেষ্ট, তারপর…
Anubrata Mondal: পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বেরিয়ে যান। তারপরেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এদিন এজলাস ছেড়ে চেম্বারে যান।
আসানসোল: আগের দিনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল না। এদিন আর দলীয় কর্মী সমর্থকদের পঞ্চায়েতের আগে কোনও টোটকা কিংবা দাওয়াই দিতে পারলেন না বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই আদালতের এজলাসে বসে কেষ্টকে আর কোনও কথাই বলতে দিলেন না বিচারক। বুধবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতর গরু পাচার মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানি শেষ হতেই বিচারক অন্যদিনের মতো চেয়ার ছেড়ে চেম্বারে গেলেন না। পুলিশকে নির্দেশ দিলেন অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে চলে যেতে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বেরিয়ে যান। তারপরেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এদিন এজলাস ছেড়ে চেম্বারে যান।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে আসানসোল সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করা হয়। সেদিন দেখা গিয়েছিল, শুনানির শেষে বিচারক এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর একটি বেঞ্চের কোণায় বসে কথা বলছিলেন অনুব্রত। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এজলাসে উপস্থিত দলীয় কর্মী সমর্থকদের নির্দেশ দিতে দেখা যায় কেষ্টকে। দলে যে গ্রুপবাজি চলবে না, সেটা তিনি তাঁদের জানিয়ে দেন। এমনকি দলে গ্রুপবাজি করলে ছেঁটে ফেলারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেটা বিষয়টি নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু এবার আর সেই বিতর্কের অবকাশই রাখেননি বিচারক। শুনানির শেষেও তিনি এজলাসে বসে থাকলেন। ততক্ষণ বসে থাকলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না অনুব্রতকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিনের শুনানিতে এই বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞমহল।
শুধু তাই নয়, আরও একটি বিষয় রয়েছে। এদিন সকাল ১১ টা ৫৭ নাগাদ যখন অনুব্রত মণ্ডল এজলাসে ঢোকেন, তখন সিবিআইয়ের অন্য একটি মামলা শুনছিলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। অনুব্রত মণ্ডল খেয়াল করেননি বিচারক আছেন। চেয়ারে বসেই তাঁর এক অনুগামী ‘দীপক’কে নাম ধরে ডাকছিলেন কাছে আসার জন্য। বিচারক হতচকিত হয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে বলেন, “আমি এখানে আছি।” এরপর অনুব্রত মণ্ডল ক্ষমা চেয়ে বলেন, “সরি সরি দেখতে পাইনি স্যর।”
তবে আগে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যে অনুগামীরা আদালতে আসেন বা এজলাসে ঢুকে পড়েন, এদিন সেই দৃশ্যও দেখা যায়নি। ছিলেন বাড়ির রাঁধুনি, গাড়িচালক এবং এক দু’জন তৃণমূল কর্মী। মোট পাঁচ থেকে ছয় জন অনুগামী এদিন এসেছিলেন সিবিআই আদালতে। ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় অনুব্রত মণ্ডলের। পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি। যদিও এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী কোনও জামিনের আবেদন করেননি। অনুব্রতর আইনজীবী বিচারককে জানান, ভোলেব্যোম রাইস মিল অ্যাকাউন্টটি সংক্রান্ত তথ্য তাঁরা জোগাড় করতে পারেননি। পরবর্তী শুনানির দিনে তা পেশ করবেন।
এদিন বিচারক জানান, সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বিচারককে মৌখিকভাবে জানান, যেন ওই জেরার সময় অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারেন।