Anubrata Mondal On Mamata Banerjee: ‘দিদি পাশে রয়েছে, এনাফ’, ‘বীরের’ সম্মান পেয়ে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত
Anubrata Mondal On Mamata Banerjee: বৃহস্পতিবারই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের মেগা শো ছিল। মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার তাঁর 'স্নেহের কেষ্ট'র পাশে দাঁড়ান।
আসানসোল: ‘দিদি’ বলে দিয়েছেন তাঁকে বীরের মর্যাদা দিতে। কথাটা বোধহয় কানে গিয়েছে তাঁরও। তাই শুক্রবার আসানসোলের জেল থেকে বেরনোর পর বাকি দিনের তুলনায় অনেকটাই চনমনে মেজাজে দেখা গেল অনুব্রতকে। মুখ্যমন্ত্রীর বীর কেষ্ট প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বললেন, “দিদি পাশে আছে এনাফ।” গাড়িতে ওঠার আগে ফের কিছুটা স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বললেন অনুব্রত। আর বললেন, “জেলে তো কেউ থাকে না। একদিন ছাড়া পাবো।”
বৃহস্পতিবারই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের মেগা শো ছিল। মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার তাঁর ‘স্নেহের কেষ্ট’র পাশে দাঁড়ান। মেয়ো রোডের ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে তাঁকে ‘পরোপকারী ছেলে’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। এদিনের মঞ্চ থেকে তাঁকে দেন বীরের মর্যাদা। বীরভূমের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশেই তাঁর বার্তা,” অনুব্রত মণ্ডলকে বীরের মর্যাদা দিয়ে জেল থেকে বের করে আনতে হবে।” মমতা বলেন, “কেষ্ট যতদিন ফিরে না আসছে, লড়াই আরও তিনগুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে কেষ্টকে জেল থেকে বের করে আনতে হবে। এই মানসিকতা নিয়ে তৈরি থাকুন। বীরভূম জেলা হারতে শেখেনি, ওটা লাল মাটির রাস্তা, লাল মাটির দেশ। এটা সবসময় মাথায় রাখবেন।”
স্বাভাবিকভাবেই দিদির যে এখনও আস্থার জায়গায় তিনি রয়েছেন, তা শোনার পরই কয়েক গুণ আত্মবিশ্বাস বেড়েছে অনুব্রতর। অবশ্য গ্রেফতারির পর প্রথম কয়েকটি মুষড়ে পড়লেও নেত্রীর প্রথম বার্তার পরই আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছিল তাঁর মধ্যে। এখন তা একেবারেই অটুট।
আজ বৃহস্পতিবার এমপিএমএলএ আদালতে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০১০ সালের একটি রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনার তিনি ১ তারিখ হাজিরা দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রয়েছে তার শুনানি। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ তিনি রওনা দিয়েছেন কলকাতার উদ্দেশে। ২৪ তারিখ থেকে তিনি আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন। গত বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা ছিল। ওইদিন আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় তাঁর। মূলত বিপুল সম্পত্তির হদিশ এবং প্রভাবশালী তত্ত্বেই তাঁর জামিন নাকচ হয়ে যায় ওই দিন।