Coal Case: কয়লাকাণ্ডে ইসিএল আধিকারিকদের জামিনের আবেদন খারিজ, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত

CBI Probe in Coal Case: বিচারক দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ৩০ অগস্ট ফের ইসিএল-এর ওই আধিকারিকদের আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Coal Case: কয়লাকাণ্ডে ইসিএল আধিকারিকদের জামিনের আবেদন খারিজ, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 6:51 PM

আসানসোল : কয়লাকাণ্ডে গ্রেফতার আট ইসিএল আধিকারিকের জামিনের আবেদন ফের একবার খারিজ করে দিলেন বিচারক। মঙ্গলবার ইসিএল আধিকারিকদের জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদলতে। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা এদিন আদালতে তাঁদের মক্কেলের জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন। অন্যদিকে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন সিবিআই আইনজীবী। সেখানে বিচারক দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ৩০ অগস্ট ফের ইসিএল-এর ওই আধিকারিকদের আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিশেষ সিবিআই আদালতে ফের একবার অভিযুক্তদের প্রভাবশালী তত্ত্বের কথা তুলে ধরেন সিবিআই আইনজীবী। আদালতে সিবিআই আইনজীবী জানান, ধৃত ইসিএল কর্তার বাইরে এলে তথ্য প্রমাণ লোপাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও অভিযুক্তদের আইনজীবীরা এর পাল্টা যুক্তিও দেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রায় দেড় বছর আগে তাঁদের মক্কেলদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে মক্কেলরা কেউই পলাতক হননি। অভিযুক্তদের মধ্য তিনজন অবসরপ্রাপ্ত জিএম। তাঁদের বাড়ি, সম্পত্তি, পরিবার সব এখানেই রয়েছে। আর বাকিরাও সরকারি চাকরি করেন। তাই পালিয়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই ব্যাখ্যা করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।

পাশাপাশি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের আরও বক্তব্য ছিল, সিবিআই আধিকারিকরা অনৈতিকভাবে তাঁদের মক্কেলদের আটকে রাখার চেষ্টা করছেন। চার্জশিট দেওয়ার পরও এভাবে আটকে রাখা উচিত নয় বলেও জানান তাঁরা। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক জানতে চান, বেআইনি কয়লা কারবার রুখতে কেন অনুপ মাজি ওরফে লালার নামে তাঁরা কখনও সরাসরি লিখিত অভিযোগ করেননি? জবাবে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা অনুপ মাজির কতট ক্ষমতাশীল তা বোঝাতে গিয়ে জানান, “অনুপ মাজি ওরফে লালা এখন সুপ্রিম কোর্টের রক্ষা কবচে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এই সাধারণ কর্মচারীরা কীভাবে অভিযোগ জানাবেন? ইসিএলের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল কয়লা চুরি নিয়ে। কিন্তু এসব দেখার দায়িত্ব সিআইএসএফ বাহিনী ও পুলিশের।” দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শুনানি শেষে অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।