Coal Scam: লালা ঘনিষ্ঠ কয়লা মাফিয়াকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল আদালত
Asansol Court: কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেয়ে রয়েছেন। কয়লাকাণ্ডের চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে, সেই অভিযুক্তরাও বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এমন অবস্থায় রত্নেশের আইনজীবী এদিন আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন জানান।
আসানসোল: দীর্ঘদিন জেল হেফাজতে কাটানোর পর অবশেষে জামিন পেলেন লালার সহযোগী। ১১৪ দিন জেলে কাটানোর পর কয়লা মাফিয়া রত্নেশ ভার্মাকে (Coal Scam accused Ratnesh Verma) অন্তর্বর্তী জামিন দিল আসানসোল আদালত (Asansol Court)। যদিও জামিনের সঙ্গে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়ে আদালত। রত্নেশকে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে সিবিআইয়ের কাছে। অর্থাৎ, জামিন পেলেও দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। এছাড়া রাজ্যের বাইরে যেতে গেলেও আদালত থেকে নিতে হবে আগাম অনুমতি। জামিনে থাকাকালীন প্রতি সাতদিন অন্তর রত্নেশকে হাজিরা দিতে হবে সিবিআই গোয়েন্দাদের কাছে। উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেয়ে রয়েছেন। কয়লাকাণ্ডের চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, সেই অভিযুক্তরাও বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এমন অবস্থায় রত্নেশের আইনজীবী এদিন আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন জানান।
আইনজীবীর প্রশ্ন, ইতিমধ্যেই ইএসএল-এর ৮ আধিকারিক, ৫ কয়লা মাফিয়া ও ১১ জন ব্যবসায়ী জামিনে মুক্ত। তাহলে রত্নেশ ভার্মার কেন জামিন হবে না? রত্নেশ বাকিদের থেকে বেশি দিন জেল হেফাজতে কাটিয়েছেন বলেও আদালতে জানান তিনি। রত্নেশ যে ১১৪ দিন ধরে জেলবন্দি রয়েছেন, সেই কথাও এদিন আদালতে তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী।
উল্লেখ্য, শনিবার সিবিআইয়ের তরফে আসানসোল আদালতে কয়লা কাণ্ডের দ্বিতীয় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। কিছুদিন আগেই ইসিএলের প্রাক্তন সিএমডি সুনীল কুমার ঝা ও সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিংকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। শনিবারের জমা করা চার্জশিটে এই দুইজনের নাম রয়েছে। এর আগে সিবিআই যখন প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল, তাতে নাম ছিল রত্নেশ ভার্মার। অনেকদিন আগেই রত্নেশকে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে রত্নেশের খোঁজ চালাচ্ছিল সিবিআই। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন রত্নেশ। প্রথমে ১৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলেই ছিলেন রত্নেশ। এদিন শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিন দিল আদালত।