Asansol: ভেঙে পড়েছে জমিদারি! ত্রিপলের নীচেই ‘আবাসের স্বপ্ন’ দেখছে রায় পরিবার
Asansol: সালানপুর ব্লকের কল্ল্যা গ্রামে রায় পরিবার ছিল এলাকার জমিদার। ছিল পূর্বপুরুষের কয়লা খনির ব্যবসা। এখন সেই পরিবার অস্বচ্ছল আর্থিকভাবে। এখন তাদের আভিজাত্যের চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধু ওই বিশাল বাড়িটি।
আসানসোল: এক সময় সালানপুরের রায় পরিবার ছিলেন জমিদার। সেই জমিদার নেই, এখন সেই জমিদারিত্ব নেই। রায় পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। এখন ভগ্ন-হানা বাড়িতে দিন কাটে রায়দের। বিপজ্জনক বাড়িতে ত্রিপল খাটিয়ে দিন রাত কাটে মনোরঞ্জন রায় ও ভাগ্যবতী রায়-সহ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। আবাস যোজনায় বার বার আবেদন করেও মেলেনি বাড়ি। সালানপুর ব্লকের কল্যা গ্রামে আবাস যোজনায় নাম উঠছে না রায়দের।
সালানপুর ব্লকের কল্ল্যা গ্রামে রায় পরিবার ছিল এলাকার জমিদার। ছিল পূর্বপুরুষের কয়লা খনির ব্যবসা। এখন সেই পরিবার অস্বচ্ছল আর্থিকভাবে। এখন তাদের আভিজাত্যের চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধু ওই বিশাল বাড়িটি। কিন্তু জমিদার পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের আর্থিক অবস্থা এখন তলানিতে। তাদের কিছু সদস্য দিনমজুরের কাজ করছেন। তাই কুঁড়ে ঘর বানিয়ে ত্রিপল টাঙিয়ে দিন গুজরান করতে হচ্ছে তাঁদের।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই জমিদার বাড়িটি এখন তাদের কাছে আর ঐতিহ্য নয়, এখন অভিশাপ। ওই বাড়িতে থাকা যায় না। যখন তখন ছাদ ভেঙে পড়ছে। হানাবাড়ির রূপ নেওয়ায় সাপের আস্তাকুড় তৈরি হয়েছে। এতটাই বিপজ্জনক। পরিবারের সদস্যা ভাগ্যবতী রায় বলেন, “পঞ্চায়েত থেকে আমাদের জানিয়েছে ওই অট্টালিকার জন্যই বাড়ি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে ছেলে মেয়ে নিয়ে আমাদের রোদ জল মাথায় নিয়ে বাইরে থাকতে হচ্ছে। ভাঙাবাড়ির একটি অংশে ত্রিপল খাটিয়ে থাকতে হচ্ছে।”
তবে তাঁদের আক্ষেপ, “এতো কষ্টে আছি, তাও আবাস প্রকল্পে নাম উঠছে না।” কল্যা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীকান্ত পাত্র বলেন, “একদা সম্ভ্রান্ত পরিবারের এই দশা নজরে আছে প্রশাসনেরও। কিন্তু পাকা বাড়ি থাকায় কোনওভাবেই সরকারি প্রকল্প দেওয়ার ক্ষমতা নেই জনপ্রতিনিধি থেকে আধিকারিকদের।” তবে আবাস যোজনা আইনি জটিলতায় সরকারিভাবে ঘর না মিললে ব্যক্তিগত ও দলগত উদ্যোগ নিয়ে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দুঃস্থ রায় পরিবারের পাশে দাঁড়াবার প্রতিশ্রুতি দেন বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ও।