Asansol Deadbody Recover: ৫ দিন ধরে নিখোঁজ, তারপর জঙ্গলে ব্যক্তির অবস্থায় স্তম্ভিত সকলে

Asansol: পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর এক ব্যক্তির বস্তাবন্দী দেহ উদ্ধার। ঘটনাস্থল পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর থানার জেমারি এলাকার।

Asansol Deadbody Recover: ৫ দিন ধরে নিখোঁজ, তারপর জঙ্গলে ব্যক্তির অবস্থায় স্তম্ভিত সকলে
আসানসোলে মৃতদেহ উদ্ধার (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2022 | 1:03 PM

আসানসোল: দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা কোনও ভাবেই খোঁজ পাচ্ছিলেন না। খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশে। শেষমেশ ব্যক্তিকে এই অবস্থায় দেখতে হবে বুঝে উঠতে পারেননি।

পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর এক ব্যক্তির বস্তাবন্দী দেহ উদ্ধার। ঘটনাস্থল পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর থানার জেমারি এলাকার। শুক্রবার মধ্য রাত্রে কালীপাথর এনটিপিসির পাইপ লাইনের কাশিডাঙার জঙ্গলে ওই দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম রাজেশ বাউরি (৩৮)। গোটা ঘটনায় দুই মহিলা সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সালানপুর থানার পুলিশ।

মৃত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৫ জুলাই রাজেশ গাড়ি মেরামতের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পরিবারের সদস্যদের সেই কথাই বলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে রাত কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। ফলত চিন্তায় পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর রাজেশের স্ত্রী বন্দনা বাউরি সালানপুর থানায় অভিযোগ করে। তারপরেও পুলিশ রাজেশের কোনও খোঁজ দিতে পারেনি।

পরিবারের সন্দেহের জেরে পুলিশ দুই মহিলা সহ একজনকে আটক করে। ধৃতদের নাম অমিত বাউরি, ভাদু বাউরি, পদ্মাবতী সোরেন (তালা)। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তিদের জেরা করার পর তিনজনই স্বীকার করে নেন রাজেশকে তাঁরা ‘খুন’ করেছেন। ধৃতদের কাছ থেকে তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ জানতে পারে, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে রাজেশকে। তারপর দেহ বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল। রাজেশের মোটর সাইকেলটি পরিত্যক্ত কয়লা খাদানে ফেলে দেওয়া দেয়।

এরপর ধৃত তিনজনকে নিয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। যদিও এখনও বাইকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।পুলিশের অনুমান অতীতের প্রেমের জেরে এই ঘটনা ও জমিজমা বিক্রির টাকা নিয়ে অশান্তির কারণেই এই খুন হতে পারে। তবে কী কারণে এই খুন বা কে কে এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে সালানপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সালানপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং জানান, এমন অপরাধ জঘন্য। এমন ঘটনা কখন করা উচিত নয়।আমরা মৃতের পরিবারের পাশে রয়েছি।