Murder Case: ‘না, অনুশোচনা নেই,’ মা-ভাইকে খুন করে সহজ স্বীকারোক্তি বাড়ির মেজোছেলের

Murder Case: নিজের মা ও ভাইকে খুনের (Murder) পর তার কোনও অনুশোচনা নেই। পুলিশকে এমনই জানাল বাড়ির মেজো ছেলে মহম্মদ আনোয়ার আলম। খুনের কারণ হিসাবে তার সাফাই, সেজভাই ১ লাখ টাকা ধার করে ফেরত দিচ্ছিল না। মা সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েও ফেরত দেয়নি।

Murder Case: 'না, অনুশোচনা নেই,' মা-ভাইকে খুন করে সহজ স্বীকারোক্তি বাড়ির মেজোছেলের
ভাই ও মা-কে খুনে তার কোনও অনুশোচনা নেই, জানাল মেজো ভাই। নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2021 | 12:01 AM

আসানসোল: নিজের মা ও ভাইকে খুনের (Murder) পর তার কোনও অনুশোচনা নেই। পুলিশকে এমনই জানাল বাড়ির মেজো ছেলে মহম্মদ আনোয়ার আলম। খুনের কারণ হিসাবে তার সাফাই, সেজভাই ১ লাখ টাকা ধার করে ফেরত দিচ্ছিল না। মা সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েও ফেরত দেয়নি। উল্টে সেজভাইয়ের পক্ষ নিচ্ছিল। তাই সে খুন করেছে। এর জন্য কোনও অনুশোচনা নেই। শুক্রবার আসানসোল আদালতে যাওয়ার পথে এমনই কথা জানালেন খুনে অভিযুক্ত মেজভাই মহম্মদ আনোয়ার আলম।

শুক্রবার হিরাপুর থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে জোড়া খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত মহম্মদ আনোয়ার আলম ওরফে পাপ্পু জানায়, ওই টাকা সে অন্যদের কাছ থেকে জোগাড় করে এনে দিয়েছিল। তার পর বারবার চেয়েও সেই টাকা ভাই দিচ্ছিল না। ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে বারবার বাঁচানোর চেষ্টা করছিল মা। তাই সে ‘বাধ্য’ হয়ে তাদের খুন করেছে। যদিও মৃত আনোয়ার আলমের স্ত্রী নুসরত খাতুন এবং তার পরিবারের অন্যান্য ভাই।

এদিকে ভাইয়ের স্ত্রীরা এই লক্ষাধিক টাকা ধার নেওয়ার ঘটনাটিকে মিথ্যা বলেন। একইসঙ্গে তারা দাবি করেন এই জোড়া খুনের পেছনে অন্য কোন ষড়যন্ত্র আছে। এই পরিবারের ছোট ভাই জাফর ইকবালের স্ত্রী শবনম পারভিন হীরাপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

উল্লেখ্য ভাইকে গলা কেটে, মা’কে চৌবাচ্চায় ডুবিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন (Murder) -এর ঘটনায় বৃহস্পতিবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় আসানসোলের (Asansol) হিরাপুর থানার ইসমাইলের আজাদনগর এলাকায়। ভাইকে গলা কেটে খুন করে সোজা হাজির থানায়। ডিউটি অফিসারকে গিয়ে যুবক জানায়, ‘আমি খুন করে এসেছি।’ খবর শুনেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তখন বাড়ির বাথরুম আর রান্নাঘরে পড়ে দুটি দেহ। বাড়ির মেজ ছেলে মহম্মদ আনোয়ার আলম ওরফে পাপ্পু। সম্পত্তি লোভেই এইভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়ায় যুবককে গ্রেফতার করেছে।

জানা যায়, টাকা পয়সার ভাগাভাগি নিয়ে সেজ ভাইয়ের সঙ্গে মেজভাইয়ের বিবাদ ছিল। সেখান থেকেই এই খুন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সত্যি করে ধৃত পাপ্পু জানায়, টাকা না পাওয়ার রাগ থেকেই সে ভাইকে খুন করেছে। মা-কেও মেরেছে। এর জন্য তার কোনও অনুশোচনা নেই।

বুধবার বিকেলেই মেজভাই আনোয়ার আলম মা’কে ফল দেওয়ার অজুহাতে বাড়িতে ঢোকে। তারপর সেজভাই মহম্মদ আফতাব আলমের স্ত্রী ও মেয়েদের ঘরে বন্দি করে রেখে দেয়। এরপর সে আফতাব আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কাটে। পরে মাকে চৌবাচ্চাতে ডুবিয়ে মেরে ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায়। হত্যাকারী পালিয়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশীদের সাহায্যে দু’জনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: Murder Case: সুচ ফুটিয়ে মেয়েকে খুনে দোষী সাব্যস্ত মা ও ওঝা!