Asansol Firing : আসানসোল কি ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’? ইতিহাসের পাতা উল্টালেই একের পর এক হাড়হিম ঘটনা

Asansol: পর্যায়ক্রমে ঘটেই চলেছে। আর প্রতিটি খুনের ঘটনায় কমন ফ্যাক্টর গুলি চালিয়ে হত্যা। কোনও বোমাবাজি, বা ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা নয়। একে বন্দুক হাতে নিয়ে গুলি চালান হয়েছে বারবার।

Asansol Firing : আসানসোল কি 'গ্যাংস অব ওয়াসিপুর'? ইতিহাসের পাতা উল্টালেই একের পর এক হাড়হিম ঘটনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2023 | 5:59 PM

আসানসোল: গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর (Gangs of Wasseypur) কথা মনে আছে? আসানসোলের (Asansol) সম্প্রতিকালের অবস্থা যেন এই কথাই মনে করাচ্ছে। শুক্রবার যেভাবে সকলের সামনেই জলজ্যান্ত মানুষকে একেবারে সামনে থেকে গুলি মেরে চলে গেল দুষ্কৃতীরা তাতে রীতিমতো আতঙ্কে এলাকাবাসী। তার উপর ঢিল ছোড়া দূরত্বে যেখানে মন্ত্রীর বাড়ি, পাশে থানা সেখানে কীভাবে ভর সন্ধ্যেবেলা এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা ভেবেই কার্যত কালঘাম ছুটছে এলাকাবাসীর। তবে আসানসোলে এই ঘটনা প্রথম নয়। পর্যায়ক্রমে ঘটেই চলেছে। আর প্রতিটি খুনের ঘটনায় কমন ফ্যাক্টর গুলি চালিয়ে হত্যা। কোনও বোমাবাজি, বা ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা নয়। একে বন্দুক হাতে নিয়ে গুলি চালান হয়েছে বারবার।

ঘটনাক্রম

সালটা ২০১১। আসানসোলের লোহা ব্যবসায়ী তথা প্রমোটার রামলক্ষণ যাদবকে প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছিল। তাঁর নির্মীয়মাণ হোটেলের ভেতরেই তাঁকে খুন করা হয়। সঙ্গে আরও তিনজন বডি গার্ড মারা গিয়েছিল।

২০১২ সালে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ সরকারকে খুন করা হয়েছিল প্রকাশ্যে। তিনি মর্নিংওয়াকে বেরিয়েছিলেন।

২০১৩ সালে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র বামাপদ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে ব্যবসায়ী অর্পণ মুখোপাধ্যায়কে খুন করা হয়েছিল প্রকাশ্যে। তিনি মর্নিংওয়াকে বেরিয়েছিলেন।

২০১৫ সালের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার যীশু বিশ্বাসকে তার লিজহোল্ড পার্কের ভেতরে ভাড়াটে খুনিরা খুন করে চলে যায়।

২০১৫ সালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কানু গরাই খুন হন। তিনি হটন রোড মোড়ে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই গুলিবিদ্ধ হন।

২০১৮ সালে আরেক ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ খানের বাবা ইভনিং ওয়াকে বেরিয়েছিলেন। তাঁকেও প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছিল। অর্থাৎ অতীতে হোটেল ব্যবসায়ী হোক বা প্রোমোটার। বারবার প্রকাশ্যে খুনের ঘটনা ঘটেছে এবারও সেই একই ঘটনা ঘটলো।

গতকালের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “আসানসোলের একদম সেন্ট্রাল জায়গা। তার ঢিল ছোড়া দূরত্বে আসানসোল থানা। একটা গলির পর তৃণমূল মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি। আর এখন দুষ্কৃতীরা এসে গুলি করে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”